ডেল কার্নেগীর শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র
লয়েজের সঙ্গে আমার এই বিষয়ে বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক পত্রালাপ হয়। তিনি স্বীকার করেন, ‘সিং সিংয়ের খুব কম অপরাধীই নিজেকে দোষী বলে ভাবে। তারা আমার আপনার মতই মানুষ আর সেই কারণেই তারা যুক্তি খাড়া করে বােঝাতে চায়। ওরা বুঝিয়েও দিতে প্রস্তুত তারা কোন সিন্দুক কেন ভাঙে বা গুলিই বা চালায় কেন। ওদের বেশির ভাগই নানা রকম যুক্তি খাড়া করে তাদের সমাজবিরােধী কাজকর্মের সাফাই দিতে চায়, সে যুক্তি ভুল বা যুক্তিগ্রাহ্য যাই হােক। তাদের বেশ জোরালাে শেষ কথা হলাে তাদের কখনই আটক করা উচিত হয়নি।'
যদি অল ক্যাপিেন, দু-বন্দুক বাজ’ ক্রোলি, ডাচ সুলজু বা জেলখানার ওই সাংঘাতিক লােকগুলাে নিজেদের কোনভাবেই দোষী বলে না ভাবে-তাহলে আমরা যেসব মানুষের সংস্পর্শে আসি তাদের ব্যাপারটা কি রকম?
পরলােকগত জন ওয়ানামেকার একবার স্বীকার করেন : “ত্রিশ বছর আগে উপলব্ধি করেছিলাম কাউকে তিরস্কার করা বােকামি। আমার নিজের দুর্বলতাগুলাে দূর করতে আমায় কম ঝামেলা J করতে হয়নি কারণ এটা না বুঝে উপায় ছিল না যে ইশ্বর সকলকে সমান বুদ্ধি দেননি।'
ওয়ানামেকার এ শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন বেশ আগে ভাগেই, কিন্তু আমার বেলায় তা হয়নি। প্রায় শতাব্দীর এক তৃতীয়াংশ হাতড়ে বেড়াবার আগে আমার উপলব্ধি হয়নি যে শতকরা নব্বই জন মানুষই নিজের দোষ দেখেও কখনও আত্ম-সমালোচনা করতে চায় না। | সমলােচনা করা বৃথা, কারণ এতে মানুষ সাবধানী হয়ে পড়ে আর স্বভাবতই সে নিজের কাজ সমর্থন করার পথ খোঁজে। সমালােচনা মারাত্মক জিনিস যেহেতু এটা মানুষের অহমিকাকে আঘাত করে, তার আত্মগর্বে চিড় ধরে আর তার ফলে সে সেটা ঘৃণার চোখে দেখা শুরু করে।
জার্মান সেনাবাহিনীতে কোন সৈনিককে কোন ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই কোন রকম অভিযােগ পেশ করতে বা সমালােচনা করতে দেওয়া হয় না। প্রথমে তার ক্রোধ প্রশমিত করে মাথা ঠাণ্ডা করতে বলা হয়। সে যদি সঙ্গে সঙ্গে কোন অভিযােগ আনে তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়। ঈশ্বর জানেন, সাধারণ মানুষের জীবনেও এরকম কিছু লাইন থাকলে ভালাে হতাে—যেমন হাতশাগ্রস্ত বাবা মা, ঘ্যানর ঘ্যানর করা বউ বা পরের ছিদ্র খুঁজে ফেরা জঘন্য সব মানুষের জন্য। | হতহাসের হাজার হাজার পাতায় এরকম সমালােচনার অসারতার উদাহরণ খুঁজে পাবেন আপনারা। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় থিয়ােডাের রুজভেল্ট আর প্রেসিডেন্ট ট্যাফটের বিখ্যাত সেই ঝগড়া- যে ঝগড়ার ফলে রিপাবলিকান দল প্রায় ভেঙে যায় আর উড্রো উইলসন হােয়াইট হাউসে ঢােকার সুযােগ পেয়ে যান। এর ফলে বিশ্বযুদ্ধে তিনি আলােকোজ্জ্বল লেখার সৃষ্টি করে ইতিহাসের ধারাটাই বদলে দেন।
সব ব্যাপার একটু খতিয়ে দেখা যাক। ১৯০৮ সালে থিয়ােডাের রুজভেল্ট যখন হােয়াইট হাউস ত্যাগ করেন তিনি ট্যাফটকে প্রেসিডেন্ট বানালেন। এরপর তিনি আফ্রিকায় সিংহ শিকার। করতে চলে যান। ফিরে এসেই তিনি ফেটে পড়লেন। তিনি ট্যাফটকে তার রক্ষনশীলতার জন্য। ভৎসনা করে নিজেই তৃতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নতুন দল গঠন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যবস্থা করে ফেললেন। ঝগড়াটা বেশ ঘােরালাে হয়ে উঠলাে। এর পরেই নির্বাচন এলাে, তাতে উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফট আর তার রিপাবলিকান দলের দারুণ পরাজয় ঘটল তারা মাত্র দুটো রাজ্য দখল করতে পারলেন—ভারমন্ট আর উটা। প্রাচীন দলটার এমন হার কখনও হয়নি। | থিয়ােডাের রুজভেল্ট ট্যাফটকেই দোষ দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্যাফট কি নিজেকে দোষী মনে করেন? অবশ্যই না। অশ্রুসজল চোখে ট্যাফট বলেন : আমি বুঝতে পারছি না অন্য আর কিছু আমি করতে পারতাম কি না। | এখন দোষটা কার রুজভেল্টের না ট্যাফটের? সত্যি কথা বলতে গেলে আমি সেটা জানি
,এহ্যও করি না। যে কথাটা বােঝাতে চাই তা হলাে থিয়ােডাের রুজভেল্টের ওই সমালােচনাতেও ট্যাফট নিজেকে দোষী বলে ভাবেন নি। বরং এটা সজল চোখে ট্যাফটকে আত্মসমর্পণ করতে আর ভাবতে বাধ্য করেছিল যে তিনি আর কিছু করতে পারতেন কি না। | এছাড়া ধরুন, টিপট ডােম তেল কেলেঙ্কারীর কথাটাই। ব্যাপারটা মনে আছে? ব্যাপারটা বছরের পর বছর খবরের কাগজে আলােড়ন তুলেছিল। সারা দেশেই এতে প্রায় কাপন ধরেছিল। আজকের দিনে যারা জীবিত আছেন তারা জানেন আমেরিকার জনজীবনে এর চেয়ে সাংঘাতিক কাণ্ড আর কখনও ঘটেনি সেই কেলেঙ্কারীর ব্যাপারটা ছিলাে এইরকম : হার্ডিংয়ের মন্ত্রীসভার ইন্টিরিয়র সেক্রেটারি অ্যালবার্ট ফলের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় এক হিল আর টিপট ডােমের সংরক্ষিত সরকারি তেল ভাণ্ডার লিজ দিতে এই তেল ভাণ্ডার নৌ বাহিনীর ভবিষ্যৎ ব্যবহারের জন্যই রাখা ছিল। সেক্রেটারি কি প্রতিযােগিতার মধ্য দিয়ে দর ডেকেছিলেন মনে ওই দারুণ লাভজনক চুক্তির ব্যাপারটা তার বন্ধু এডওয়ার্ড এল ডােহেনিকে দিয়ে দেন। ডােহেনি কি করলেন? তিনি তার বন্ধু সেক্রেটারি ফলকে 'ধার' হিসেবে দিয়েছিলেন প্রায় লাখ খানেক ডলার। তারপর সেক্রেটারির ফল প্রায় স্বৈরতান্ত্রিক পথে যুক্তরাষ্ট্রীয় নৌবহরকে ওই এলাকায় গিয়ে।
Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro in boiferry,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro buy online,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro by Dale Carnegie,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro Ebook,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro Ebook in BD,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro Ebook in Dhaka,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro Ebook in Bangladesh,Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro Ebook in boiferry,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র বইফেরীতে,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র অনলাইনে কিনুন,ডেল কার্নেগী এর ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র ইবুক,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র ইবুক বিডি,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র ইবুক ঢাকায়,ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্র ইবুক বাংলাদেশে
ডেল কার্নেগী এর ডেল কার্ণেগী - শেষ্ঠ রচনাসমগ্রএখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 240 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে।Dale Carnegie Shreshtho Rochona Somogro by Dale Carnegieis now avaiable in boiferry for only 240 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৩৭৬ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2020-02-01 |
প্রকাশনী |
রাবেয়া বুক হাউস |
ISBN: |
|
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
ডেল কার্নেগী (Dale Carnegie)
ডেল কার্নেগী
ডেল ব্রাকেনরিডজ কার্নেগী, এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে ২৪ নভেম্বর, ১৮৮৮ সালে জন্ম নেওয়া এই আমেরিকান লেখক তাঁর আত্ম-উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও বইয়ের পাতায় আজও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এক নাম। সেলফ-ইম্প্রুভমেন্ট, সেলসম্যানশিপ, করপোরেট ট্রেনিং, পাবলিক স্পিকিং, ও ইন্টার পার্সোনাল স্কিল এর মতো দারুণ সব প্রশিক্ষণের উদ্ভাবন ও এসব বিষয়ে লেখা ডেল কার্নেগী এর বই সমূহ আশার আলো দেখিয়েছে অসংখ্য হতাশাচ্ছন্ন মানুষকে। মিসৌরিতে দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়ার দরূণ বালক বয়স থেকেই কাজ করেছেন ক্ষেতখামারে। এর মাঝেও ওয়ারেন্সবার্গের সেন্ট্রাল মিশৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। কলেজ শেষে জীবিকার তাগিদে বেকন, সাবান এবং লার্ড (শূকরের চর্বি মিশ্রিত করা) তৈরির কাজও করতে হয় আর্মর অ্যান্ড কোম্পানির জন্য। ফার্মের প্রধান হিসেবে অনেক সাফল্য লাভ ও ৫০০ ইউএস ডলার সঞ্চয়ের পর ১৯১১ সালে বহুদিনের লালিত স্বপ্ন অধ্যাপক হওয়ার জন্য বিক্রয় সেবার কাজটি ত্যাগ করেন তিনি। কিছু ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ঝুলিতে নিয়ে যখন ওয়াইএমসিএ- এর ১২৫ নম্বরে বাস করতে শুরু করেন, তখনই পাবলিক স্পিকিং এর ধারণাটি মাথায় খেলা করে কার্নেগীর। সেই সময় মোট লভ্যাংশের ৮০% শতাংশের বিনিময়ে ওয়াইএমসিএ এর পরিচালকের কাছে শিক্ষা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এভাবেই ১৯১২ সাল থেকে কার্নেগী কোর্সের যাত্রা শুরু হয়। পুরো আমেরিকাবাসীর কাছে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পথ হয়ে উঠে তার পদ্ধতি। ডেল কার্নেগী এর বই সমগ্র এর মধ্যে ‘হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স’ বইটিকে তার সেরা অবদান হিসেবে ধরা হয়। প্রথম প্রকাশের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই যার ১৭তম মুদ্রণও প্রকাশ করতে হয়েছিলো। ডেল কার্নেগী এর লেখাগুলো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। ‘বিক্রয় ও জনসংযোগ প্রতিনিধি হবেন কীভাবে’, ‘বন্ধুত্ব ও সম্পদ লাভের কৌশল’, ‘বড় যদি হতে চাও’, ‘ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ’ এমন নানা নামের অনূদিত ডেল কার্নেগী বাংলা বই অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে বাংলাভাষী পাঠকদেরও। ডেল কার্নেগী শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র এর মধ্যে আরও আছে ‘দ্য বায়োগ্রাফি অব আব্রাহাম লিংকন’, ‘ফাইভ মিনিট বায়োগ্রাফিস’ এবং ‘বিশ্বায়নের পটভূমি’। ১ নভেম্বর, ১৯৫৫ সালে আমেরিকান এই অধ্যাপক মৃত্যুবরণ করেন।