Loading...

ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস (হার্ডকভার)

সম্পাদক: আরিয়ানা বিনতে রহমান

স্টক:

৪৫০.০০ ৩১৫.০০

একসাথে কেনেন

পিপিলিকা ও তৃণকীট
এক পিপীলিকা, শরৎকালে শস্যের সঞ্চয় করিয়া রাখিয়াছিল। শীতকালে, একদিন সে কিছু শস্য রৌদ্রে শুষ্ক করিবার নিমিত্ত, বাহির করিতে লাগিল।
এক তৃণকীট ক্ষুধায় মৃতপ্রায় হইয়াছিল। সে, পিপীলিকাকে বলিল, দেখ ভাই! আহার না পাইয়া, আমার প্রাণবিয়োগের উপক্রম হইয়াছে।
যদি তুমি, দয়া করিয়া, তোমার সঞ্চিত শস্যের কিয়ৎ অংশ আমাকে দাও, তাহা হইলে আমার প্রাণরক্ষা হয়। পিপীলিকা জিজ্ঞাসা করিল, তুমি সমস্ত শরৎকাল কি করিয়াছিলে? সে বলিল, আমি আলস্যে কাল হরণ করি নাই; সমস্ত শরৎকাল অবিশ্রামে গান করিয়াছিলাম।
এই কথা শুনয়া, পিপীলিকা ঈষৎ হাসিয়া বলিল, যখন তুমি সমস্ত শরৎকাল গান করিয়া কাটাইয়াছ, সমস্ত শীতকাল নৃত্য করিয়া কাটাও।
অর্থাৎ শরৎকালের সঞ্চয়, শীতকালের সংস্থান হয়।
Chotoder Bidyasagar Amonibus,Chotoder Bidyasagar Amonibus in boiferry,Chotoder Bidyasagar Amonibus buy online,Chotoder Bidyasagar Amonibus by Ishwar Chandra Vidyasagar,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস বইফেরীতে,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস অনলাইনে কিনুন,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস,9789849783275,Chotoder Bidyasagar Amonibus Ebook,Chotoder Bidyasagar Amonibus Ebook in BD,Chotoder Bidyasagar Amonibus Ebook in Dhaka,Chotoder Bidyasagar Amonibus Ebook in Bangladesh,Chotoder Bidyasagar Amonibus Ebook in boiferry,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস ইবুক,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস ইবুক বিডি,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস ইবুক ঢাকায়,ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস ইবুক বাংলাদেশে
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর ছোটদের বিদ্যাসাগর অমনিবাস এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 315.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Chotoder Bidyasagar Amonibus by Ishwar Chandra Vidyasagaris now available in boiferry for only 315.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৮৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2023-12-28
প্রকাশনী আকাশ
ISBN: 9789849783275
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
লেখকের জীবনী
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (Ishwar Chandra Vidyasagar)

Iswar Chandra Vidyasagar- তিনি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর (বাংলা ১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ আশ্বিন, মঙ্গলবার) বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বীরসিংহ সেই সময় অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণ ছিলেন সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ। ইনিই ঈশ্বরচন্দ্রের নামকরণ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় চাকুরি করতেন। পরিবার নিয়ে শহরে বাস করা তাঁর সাধ্যের অতীত ছিল। সেই কারণে বালক ঈশ্বরচন্দ্র গ্রামেই মা ভগবতী দেবী ও ঠাকুরমার সঙ্গে বাস করতেন।উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ করে তোলেন ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনই তাঁর দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসংকটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তাঁর পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মশক্তি ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি। বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলকাতার আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তাঁরই নামে উৎসর্গিত। জন্ম গ্রহণ কালে তার পিতামহ তার বংশানু্যায়ী নাম রেখেছিলেন "ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়"। ১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষা দেন ঈশ্বরচন্দ্র। এই পরীক্ষাতেও যথারীতি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে যে প্রশংসাপত্রটি পান, তাতেই প্রথম তাঁর নামের সঙ্গে 'বিদ্যাসাগর' উপাধিটি ব্যবহৃত হয়। তিনি ২৯ জুলাই ১৮৯১, ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই