আমার ছেলেবেলা কেটেছে সাগর মেখলা সমুদ্র কন্যা এক দ্বীপে। যেখানে প্রকৃতি ছিল অবারিত। সমুদ্রের উন্মুক্ত হাতছানি, বন-বনানি, সােনালি শস্যক্ষেত, শ্রমজীবী মানুষের জীবনাচরণ ইত্যাদি আমার মনভূমিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এছাড়া শৈশবে রূপকথায় ভর করে কত অজানা দেশ-দেশান্তরেই-না ভ্রমণ করেছি। দুঃখিনি রাজকন্যা সাহসী রাজকুমার, দৈত্য-দানব, রাক্ষস, খােক্ষস, ফুলপরী এরা ছিল আমার নিত্য সহচর। কল্পলােকের সেই মধুর দিনগুলির প্রভাব এখনাে আমাকে নানাভাবে আচ্ছন্ন করে। ফলে জীবন বাস্তবতায় ভ্রমণ আমার সেই কল্পলােকের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের সুযােগ আমার মনােবীণায় সপ্ত সুরের তরঙ্গায়িত হয়ে উঠল। অস্ট্রেলিয়ার মতাে একটি দ্বীপ মহাদেশের বৈচিত্র্য, বৈভব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাহিনী বরাবর আমি আবিষ্ট হয়েছি। অস্ট্রেলিয়া যদিও ক্ষুদ্রতম মহাদেশ তবুও দেশ হিসেবে এটির স্থান ষষ্ঠ। এই দেশটির অফিসিয়াল নাম কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া। দেশটির চতুর্দিকে সাগর ও মহাসাগর, ছােট ছােট দ্বীপ দ্বারা বেষ্টিত। নানা জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই দেশটির বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতিতে ও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাধান্য রয়েছে। এছাড়া অভিবাসীদের জন্য বরাবর এটি একটি স্বর্গরাজ্য। অস্ট্রেলিয়ার উঁচুমানের বেশ কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথিবীর বহুদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রচুর মেধাবী তরুণ বৃত্তিলাভ করে ঐদেশে শিক্ষা গ্রহণ করে।