‘চোখের বালি’ উপন্যাসটি সম্পর্কে ভূমিকা লিখতে গিয়ে লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন- ‘আমার সাহিত্যের পথযাত্রা পূর্বাপর অনুসরণ করে দেখলে ধরা পড়বে যে ‘চোখের বালি’ উপন্যাসটা আকস্মিক, কেবল আমার মধ্যে নয়, সেদিনকার বাংলা সাহিত্যেক্ষেত্রে। বাইরে থেকে সহজ জবাব হচ্ছে ধারাবাহিক লম্বা গল্পের উপর মাসিক পত্রের চিরকালের দাবি নিয়ে...।’
‘আমরা একদা বঙ্গদর্শনে বিষবৃক্ষ উপন্যাসের রস সম্ভোগ করেছি। তখনকার দিনে সে রস ছিল নতুন। পরে সেই বঙ্গদর্শনকে নবপর্যায়ে টেনে আনা যেতে পারে কিন্তু সেই প্রথম পালার পুনরাবৃত্তি হতে পারে না। সে দিনের আসর ভেঙ্গে গেছে, নতুন সম্পাদকের রাস্তার মোড় ফেরাতেই হবে...।’
Chokher Bali,Chokher Bali in boiferry,Chokher Bali buy online,Chokher Bali by Rabindranath Tagore,চোখের বালি,চোখের বালি বইফেরীতে,চোখের বালি অনলাইনে কিনুন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চোখের বালি,9847025400412,Chokher Bali Ebook,Chokher Bali Ebook in BD,Chokher Bali Ebook in Dhaka,Chokher Bali Ebook in Bangladesh,Chokher Bali Ebook in boiferry,চোখের বালি ইবুক,চোখের বালি ইবুক বিডি,চোখের বালি ইবুক ঢাকায়,চোখের বালি ইবুক বাংলাদেশে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চোখের বালি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Chokher Bali by Rabindranath Tagoreis now available in boiferry for only 160.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ২০৮ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2020-02-01 |
প্রকাশনী |
এ্যাবাকাস পাবলিকেশন্স |
ISBN: |
9847025400412 |
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মানেই খুব কাছ থেকে জীবনকে দেখা। তাঁর প্রত্যেকটা লেখাতেই অসংখ্য শিক্ষনীয় বিষয় থাকে "চোখের বালি" উপন্যাসটিও তার ব্যতিক্রম নয়।
পুরো উপন্যাসজুড়ে বন্ধুত্বের গভীর সম্পর্ক, মানসিক দ্বিধা-দ্বন্দ, ভালোবাসার উত্থান-পতন খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে বেশকিছু ম্যাসেজ দিয়েছেন। ম্যাসেজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ম্যাসেজ হচ্ছে, "একজন নারী একজন পুরুষকে ধ্বংসের দিকে পরিচালিত করতে পারে, কিন্তু তার ফলাফল মোটেও সুখকর নয়। আবার একজন বিবাহিত পুরুষের অন্য নারীর প্রতি দুর্বলতা একটি সুখের সংসার ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে।"
বিশ্ব নন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর কিছু উপন্যাসের মধ্যে “চোখের বালি” অন্যতম I ঘটনা পরম্পরা নয় হৃদয়ের ঘাত-প্রতিঘাতই সবকিছুর নিয়ামক। বাংলা উপন্যাসে এমন বয়নও এর আগে আর কখনও দেখা যায়নি। চোখের বালি' সম্পূর্ণ নতুন একটি ধারার সৃষ্টি করেছিল বাংলা কথাসাহিত্যে। উপন্যাসটিতে খুব সুন্দভাবে মানুষের মনােজগতের আলােড়ন ও জৈবিক চাহিদার স্বরুপ উন্মােচিত হয়েছে। আমার কাছে যা স্বাভাবিক লেগেছে। বিয়ের অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিধবা হয় চোখের বালি' উপন্যাসের নায়িকা বিনােদিনী। মিশনারি মেমের কাছে সে পড়াশােনা করেছিল। বিনােদিনী বুদ্ধিমতী। রূপসীর শরীরে এখন খুরযৌবনের প্রখর দীপ্তি। প্রভুত্ব যেন তার স্বভাবসিদ্ধ। তার কাছে উপন্যাসের নায়ক মহেন্দ্র বালিকাবধূ আশালতা নিতান্তই অপরিণত ও ম্লান। ঘটনাচক্রে মহেন্দ্রর বিধবা মা রাজলক্ষ্মী নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন বিনােদিনীকে। কিন্তু এই আশ্রিতা বিনােদিনীই ধীরে ধীরে ব্যাপক ও দুর্নিবার হয়ে ওঠে। তার আকর্ষণে মহেন্দ্রর সাধের দাম্পত্যজীবন ছারখার হয়ে গিয়েছিল। মহেন্দ্রর ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু বিহারীও জড়িয়ে পড়েছিল ত্রিকোণ প্রেমে। রাজলক্ষ্মীর বিধবা জা অন্নপূর্ণারও এক কঠিন ভূমিকা আছে এই আখ্যানে। তবে কঠিনতর ভূমিকা রাজলক্ষ্মীর। মহেন্দ্র তার একটিমাত্র সন্তান, চোখের মণি। মহেন্দ্রও ছিল মায়েরই ছেলে, অতিমাত্রায় মাতৃনির্ভর। কিন্তু সব সাজানাে ছক উলটে দিয়েছিল বিনােদিনী। অভাবনীয় ঘাতপ্রতিঘাত মহেন্দ্রর মাকে শুধু বেদনাহত নয়, প্রবল ভাবে ঈর্ষাকাতরও করে তুলেছিল।কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনােদিনী কে মায়াবিনী মনে হলেও কিছু ক্ষেত্রে তার অসহায়তা চোখে পড়ে।আরাে কিছু কিছু মানসিক অবস্থা লেখক এমনভাবে বর্ণনা যা মনে হবে নির্মম সত্য।তবে সর্বোপরি, এটি চমৎকার একটি মনােস্তাত্বিক উপন্যাস বলে আমি মনে করি। মানব মনের বিচিত্র চিন্তা এতে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভাল লাগার বই হবে এটি। বইটি সবার পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
June 30, 2022
লেখকের জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।