Loading...

চে গুয়েভারার ডায়েরী (হার্ডকভার)

অনুবাদক: অসীম চট্টোপাধ্যায়

স্টক:

২৫০.০০ ১৮৭.৫০

রোজারিও থেকে আর্জেন্তিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ারস-এ চলে এসেছিল গুয়েভারা পরিবার। আর্নেস্তো ডাক্তারি পড়ছিলেন। এইসময় বয়সে বছর ছয়েকের বড় আলবার্তো গ্রানাদোসের সঙ্গে এই ডাক্তারি ছাত্রটি রওনা হন এক দীর্ঘ সফরে। পুরনো একটা মোটরসাইকেকলে চড়ে দুই স্বপ্নসন্ধানী। সালটা ১৯৫১, আর্নেস্তো তেইশের যুবক। আর্জেন্তিনা থেকে চিলি। চিলির নানান জায়গা। দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার ধকলে অকেজো হয়ে গেছে পুরনো মোটরসাইকেল। তাকে চিলির মাটিতেই বিসর্জন দিয়ে, কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও চলতি কোনও গাড়িতে উঠে, দুই বন্ধু পৌঁছেছেন পেরুতে। পেরুর দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, প্রাচীন ইনকা সভ্যতার চিহ্ন, কেশুয়া আর আইমারা ইন্ডিয়ানদের বসতি, আমাজনের তীর। দুই বন্ধু দেখেছেন। পথে অসুস্থ হয়েছেন আর্নেস্তো, আক্রান্ত হয়েছেন জন্মগত হাঁপানির টানে। আর ডায়েরি লিখেছেন। জীবনশেষের আগের দিন পর্যন্ত ডায়েরি লিখেছেন আর্নেস্তো- তখন তিনি চে। পেরু থেকে ভেলায় চড়ে কলম্বিয়া। সেখান থেকে ভেনিজুয়েলা। সাত মাস পথে পথে, দেশে দেশে ঘোরার পর আর্জেন্তিনায় ফিরলেন আর্নেস্তো। ১৯৫৩ সালে ডাক্তারি পাস করলেন শল্যচিকিৎসক এবং ত্বকবিজ্ঞঅনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে।
Che guevarar dairy,Che guevarar dairy in boiferry,Che guevarar dairy buy online,Che guevarar dairy by Ernesto Che guevara,চে গুয়েভারার ডায়েরী,চে গুয়েভারার ডায়েরী বইফেরীতে,চে গুয়েভারার ডায়েরী অনলাইনে কিনুন,আর্নেস্তো চে গুয়েভারা এর চে গুয়েভারার ডায়েরী,9789848964484,Che guevarar dairy Ebook,Che guevarar dairy Ebook in BD,Che guevarar dairy Ebook in Dhaka,Che guevarar dairy Ebook in Bangladesh,Che guevarar dairy Ebook in boiferry,চে গুয়েভারার ডায়েরী ইবুক,চে গুয়েভারার ডায়েরী ইবুক বিডি,চে গুয়েভারার ডায়েরী ইবুক ঢাকায়,চে গুয়েভারার ডায়েরী ইবুক বাংলাদেশে
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা এর চে গুয়েভারার ডায়েরী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 187.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Che guevarar dairy by Ernesto Che guevarais now available in boiferry for only 187.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৯২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2013-01-01
প্রকাশনী বুক সেন্টার
ISBN: 9789848964484
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আর্নেস্তো চে গুয়েভারা
লেখকের জীবনী
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা (Ernesto Che guevara)

জন্ম ১৪ জুন, ১৯২৮ – মৃত্যু ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭। তিনি ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না (স্পেনীয়: Ernesto Guevara de la Serna)। তবে তিনি সারা বিশ্ব লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়। তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। এই ভ্রমণকালে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তাঁর সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাঁদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলগেনসিও বাতিস্তা উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উত্খাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিপ্লবী আদালতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের আপিল পুনর্বিবেচনা ও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড প্রদান, শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী হিসেবে খামার সংস্কার আইন প্রবর্তন, কিউবার জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর ইনস্ট্রাকশনাল ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন, এবং কিউবান সমাজতন্ত্রের প্রচারে বিশ্বপর্যটন। এই পদাধিকারের কল্যাণে তিনি মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ পান; ফলত এই বাহিনী পিগস উপসাগর আক্রমণ করে তা পুনর্দখলে সক্ষম হয়। কিউবায় সোভিয়েত পরমাণুব্যালিস্টিক মিসাইল আনার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চে ছিলেন এক বিশিষ্ট লেখক ও ডায়েরি-লেখক। গেরিলা যুদ্ধের উপর তিনি একটি প্রভাবশালী ম্যানুয়েল রচনা করেন। তরুণ বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোটরসাইকেলে ভ্রমণের স্মৃতিকথাটিও তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় রচনা। বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তাঁর বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। এখানেই সিআইএ-মদতপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দী ও নিহত হন চে। চে গেভারা একাধারে ইতিহাসের এক নন্দিত ও নিন্দিত চরিত্র। বিভিন্ন জীবনী, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ, তথ্যচিত্র, গান ও চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। আবার গেরিলেরো হেরোইকো নামে আলবের্তো কোর্দার তোলা চে-র বিখ্যাত ফটোগ্রাফটিকে "বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফ" হিসেবে ঘোষিত।

সংশ্লিষ্ট বই