এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। এক ঘণ্টা পার হলাে। পাঁচ নম্বর রুম থেকে একটি মেয়ে বের হয়ে বারান্দায় দাঁড়াল। কিছুক্ষণ পর মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করল। ডা. নিৰ্কর বারান্দা দিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে প্রশ্ন করলেন, “তুমি কাঁদছ কেন? মেয়েটি মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল, ‘আশা ছিল আজকের পরীক্ষায় লেটার পাব। কিন্তু সাঁইত্রিশের বেশি অ্যানসার করতে পারছি না।' ঠিক তখন একজন ডিউটিরত শিক্ষিকা এসে মেয়েটির পাশে দাঁড়ালেন। ওর পিঠে হাত রাখলেন। ডা, নিঝর বললেন, “তােমার এক্সপেটেশন শুনে মনে হচ্ছে তুমি ভালাে ছাত্রী। কান্নাকাটি করে সময় পার করলে লিখবে কখন? | ডা, নিৰ্ব্বরের এ রকম কথা শুনে শিক্ষিকা বললেন, “আসলেই ও ভালাে ছাত্রী। লেখাপড়ায় ওর ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই ভালাে।' মেয়েটির কান্না থামল । ডা, নিঝর তাকালেন মেয়েটির দিকে, দেখলেন তার চোখের কাজল লেপটে গিয়েছে। একটু সহানুভূতি এল তার মনে। তিনি বললেন, “ছয় বিষয়ে মােট বার পেপারের পরীক্ষা। একটি দুটি খারাপ হতেই পারে। তাছাড়া কেবল এক ঘণ্টা পার হয়েছে। এখনও অনেক সময় বাকি। তুমি রুমে যাও, সিটে বস, একটু ভাব, দেখবে সব মনে পড়ছে। আর একান্ত ই যদি মনে পড়ে আমরা তাে রয়েছি।' বলে ডা, নিঝর হাসলেন, চেষ্টা করলেন এভাবে মেয়েটিকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার । শেষে তিনি চলে যাওয়ার জন্য যখন পা বাড়ালেন মেয়েটি প্রশ্ন করল, আপনি কে? | ডা, নিৰ্কর বুঝলেন মেয়েটি তার পরিচয় জানে না। তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন, পরিচয় দেবেন ভাবছেন, এমন সময় শিক্ষিকা পরিচয় দিলেন।