ক্রেতার পর্যালোচনা

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

• পর্যালোচনা লিখেছেন 'Samia Afrin'

  "বুকের ভেতর বিষাদপুর" বইটি সোয়েব আল হাসান ভাইয়ার লেখা চমৎকার একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসে আপনারা গ্রামের পরিবেশটি তীব্রভাবে অনুভব করতে পারবেন ৷ এখানে বেশ কিছু বিশেষ চরিত্রের উল্লেখ আছে যার মাঝে প্রধান চরিত্র "কয়ন আল কাকসি" কিন্তু তাকে সবাই কয়ন বলেই ডাকে ৷ সে নিজের ইচ্ছে মতন চলতে ভালোবাসে। এক কথায় অনেকটা বাউন্ডুলে কিন্তু সভ্য স্বভাবের ভদ্র ছেলে ! উপন্যাসের বেশ কিছু অংশ পড়ে হাসি থামাতে পারিনি আমি ৷ লেখক সব থেকে হাস্যকর চরিত্রটি প্রতিফলন ঘটিয়েছে 'অন্তু ' চরিত্রটির মধ্যে। উপন্যাসের আরেকটি চরিত্র হলো মেঘাদ্রিতা, যার প্রতি কয়নের ভালোবাসাটা ছিলো অনেকটা বদ্ধ ঘরের জানালা বেয়ে আসা রৌদ্র-মেঘের লুকোচুরি খেলার মতন ৷ কয়নের অপ্রকাশিত ভালোবাসায় আমার মনে আফসোসের তুমূল শব্দে হুইসেল বেজে যাচ্ছে এখনো ৷ উপন্যাসের শেষ অংশটার বর্ননা করা আমার পক্ষে যদিও সম্ভব না তবে এতটা বেদনার ধূসর চাদরে মোড়ানো থাকবে তা কল্পনার বাইরে ছিলো ! এমন করুন পরিসমাপ্তি পাঠকদের হৃদয়ে দাগ কাটবেই ৷ পড়তে যেয়ে আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারিনি চোখের কোণ ঘেঁষে কখন দুফোটা অশ্রু গড়িয়েছে ৷ হয়তো এর মাঝেই লেখকের স্বার্থকতা প্রকাশ পেয়েছে ৷ সর্বশেষে একটা কথাই বলবো, প্রিয় লেখকের জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো ৷ আশা করি ভাইয়ার থেকে আরোও উপন্যাসের বই পাবো আগামীতে ৷ প্রিয় কিছু লাইন: # ভাঙা আয়নায় নাকি মুখ দেখতে নেই,আয়ু কমে যায়।তাই আর আয়না দেখি না।আয়ু সংরক্ষিত থাক।কেন জানি অনেক দিন বাঁচতে ইচ্ছে করে আমার। # রূপবতী মেয়েদের চেয়ে গুণবতী মেয়েরা কতই না ভালো! রূপ না থাক,গুণ দিয়ে তারা তাদের প্রিয় মানুষগুলোকে সারাজীবন মোহিত করে রাখে। # বেশিরভাগ মানুষই ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে নিজেকে চেনার আগেই ৷ আমরা জীবনভর অন্যকে চিনতে গিয়ে নিজের কাছেই অচেনা হয়ে থাকি ৷ # জগৎ সংসারের দুঃখ ও দ্রোহের,বিষ ও বিষাদের সকল সীমা ছাড়িয়ে আমি শূন্যরেখা ভেদ করে সবর্বৈব তলিয়ে গেলাম অতলে, অতলান্তিকে ৷

  June 29, 2022