বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। অথচ পুরুষশাসিত সমাজে এই অর্ধেক জনগোষ্ঠীর অবদানের স্বীকৃতি বা ভূমিকার মূল্যায়ন কখনােই সে ভাবে করা হয়নি। মানব ত তাৰ এ-যাবত রচিত ইতিহাসে নারীর কৃতী ও কৃতিত্বকে বলতে গেলে পেছনের সারিতেই স্থান দেওয়া হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে সারা বিশ্বের নির্বাচিত একশাে কতী। ও মহীয়সী নারীর জীবন ও কাতির পরিচয় তুলে ধন্য হয়েছে। এদের মধ্যে বিবি মরিয়ম, হজরত খাদিজা, হজরত আয়েশা, রাবেয়া বসরি ও মীরা। বাঈয়ের মতাে সাধ্বী ও সাধিকার কথা যেমন আছে, ; তেমনি আছে ক্লিওপেট্রা, সুলতানা রাজিয়া, নূরজাহান, ভিক্টোরিয়া, এলিজাবেথ ও ক্যাথারিন থেকে একেবারে হালের চন্দ্রিকা, খালেদা ও হাসিনার মতাে রাণি-সম্রাজ্ঞী বা রাজনৈতিক নেত্রী; জোয়ান অব আর্ক, রাণি লক্ষ্মীবাই, প্রীতিলতা ও তারামন বিবির মতাে যোদ্ধা; এফারেন্স নাইটিঙ্গেল ও মন্দিার তেরেসার মতাে সেবাব্রতিনী: হেরিয়েট বিচার স্টো ও পার্ল বাকেনা মতো ঔপন্যাসিক, ম্যারী কুরি ও জুলি কুনিয়ার মতাে নিতানী, রােকেয়া ও মন্তেসরির মতাে শিক্ষাব্ৰতিনী; গ্রেটা গার্বো, এলিজাবেথ টেলরের মতাে অভিনেত্রী; আনা পাতলােভার মতো নৃত্যশিল্পী: তেরেস্কোভার মতো নভোচারিণী; বিলি জিন ও হিফিফথ জয়নার-এর। মতো আমড়া তারকার কথাও। একটিমাত্র বইয়ের পরিসরে বিশ্বের এতােজন কৃতী নারীর জীবন, সাধনা ও অবদানের কথা বাংলা ভাষায় স্থানত এই প্রথম পরিবেশিত হল। সেদিক থেকে সাধারণ পাঠকের কৌতুহল মিনক্তির পাশাপাশি বিশ্বসেরা নারী বইটি নারীবিষয়ক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে একটি কোস্থের চাহিদা মেটাবে বলে আমাদের।।