বীরবলের আসল নাম মহেশ দাস। তিনি ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাঁর জন্ম ভারতের উত্তর প্রদেশের কালপির নিকটবর্তী এক গ্রামে, ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে। জনশ্রুতি এই, সেই গ্রামের নাম টিকওয়ানপুর, এটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। মহেশের বাবার নাম গঙ্গা দাস, মায়ের নাম আনভা দেবী। বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান তিনি। তারা ছিলেন ভাট ব্রাহ্মণ পরিবার। বীরবল মারা যান মাত্র ৫৮ বছর বয়সে, ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে, সােয়াত উপত্যকায় (বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত)। তিনি ছিলেন প্রবল প্রতাপান্বিত মােগল সম্রাট আকবরের রাজসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন সভাসদ। তিনি বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ব্যঙ্গ নৈপুণ্য, রসবােধ, উপস্থিত তীক্ষ্ণধার বুদ্ধির জন্য। সম্রাট আকবর তাঁকে কবি ও গায়ক হিসেবে নিয়ােগ করেন (১৫৫৬-১৫৬২)। সম্রাট আকবরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি। ছিলেন সম্রাটের নবরত্ন সভার অন্যতম একজন। ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে বীরবল এক সৈন্যবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিদ্রোহ দমনের দায়িত্ব দেয়া হয় তাঁকে। বিদ্রোহী উপজাতীয়দের হাতে তিনি নিহত হন। বীরবলই প্রথম হিন্দু, যিনি সম্রাট আকবর প্রবর্তিত নতুন ধর্ম ‘দীন-ই-ইলাহি’ গ্রহণ করেন।