স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। স্বাধীনতা অর্জনের বেশ আগেই বাঙালির বুকের গভীরে তার জন্য মমতার আসন পাতা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলে তাকে জয়মাল্য পরিয়ে সম্মানে বরণ করেছে বাঙালি। বাঙালির ঘরে অতিসাধারণ একটি নাম শেখ মুজিব। সাধারণ এই নামের আড়ালে বাঙালি পেয়েছে অসাধারণ এবং অসামান্য এক ব্যক্তিত্বকে, সারা জীবনের সাধনায় যিনি নিজেকে স্থাপন করেছেন আকাশসমান উচ্চতায় এবং পরাধীন জাতিকে দিয়েছেন মুক্তির ঠিকানা। তাঁরই শৈল্পিক নেতৃত্বে চিরদিনের অবহেলিত ও শােষিত এই জাতি ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। তারপর বাংলাদেশের মানুষ তাকে জাতির জনকের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে। তবু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিব শুধু বাঙালি জাতি নয়, বিশ্ববাসীর কাছে ‘বঙ্গবন্ধু' বলেই অধিক পরিচিতি পেয়েছেন। দেশের মানুষ বুক টান করে অকুণ্ঠ চিত্তে ঘােষণা করে-বঙ্গবন্ধু, তােমায় ভালােবাসি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা ভাষায় বিভিন্ন রকমের। লেখালেখি অব্যাহত আছে। গল্প-উপন্যাস, ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক-সংগীত-সবকিছুতে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের সাহিত্যে 'বঙ্গবন্ধুর সাহিত্য' নামে বেগবান একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। তার জন্মশতবর্ষে এসে সাহিত্যের সে ধারা পত্রপুষ্পে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অসংখ্য কিশাের গল্পের মধ্য থেকে খ্যাতিমান লেখকদের বেশ কিছু নির্বাচিত গল্প মলাটবন্দি করে সাহিত্য বিকাশ উপস্থাপন করছে গল্প সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু | তােমায় ভালােবাসি'। শুধু ছােটদের নয়, সব বয়সের পাঠকেরই ভালাে লাগবে এই অনন্য গল্প সংকলনটি।