Loading...

আরবের চাঁদ (হার্ডকভার)

অনুবাদক: শাহাদাত হুসাইন

স্টক:

৩৮০.০০

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি হেদায়েতের চাঁদ হয়ে উদিত হয়েছিলেন আরবের আকাশে। তবে সেই চাঁদের আলো কেবল আরবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে। সেই মরুচাঁদের বিভায় বিমোহিত হয়ে স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ রচনা করেছেন আরবের চাঁদ নামে এক অনবদ্য গ্রন্থ। যার প্রতিটি পৃষ্ঠা তিনি সাজিয়েছেন রাসুলপ্রেমের বর্ণমালায়। কখনো-বা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ভারতবর্ষের করুণ বর্তমান দেখে। এ অঞ্চলটির নানা অসংগতির কথা উল্লেখ করে লেখক বলেন, "আজকের এই শিক্ষিত ও সভ্য হিন্দুস্তানের সঙ্গে জাহেলি যুগের আরবের যে কতটা গভীর মিল রয়েছে, তা আমাদের হিন্দুস্তানিদের জীবনব্যবস্থার দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, পছন্দ-অপছন্দ থাকে এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার দৃষ্টিতে বর্তমান সময়ে আমাদের প্রিয় হিন্দুস্তানের সামনে যে মহান মনীষীর আদর্শ ও জীবনীকে পেশ করা যেতে পারে, তিনি হলেন নবী-রাসুলদের সর্দার মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"।

Show Less
Araber Chand,Araber Chand in boiferry,Araber Chand buy online,Araber Chand by Swami Laxman Prasad,আরবের চাঁদ,আরবের চাঁদ বইফেরীতে,আরবের চাঁদ অনলাইনে কিনুন,স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ এর আরবের চাঁদ,9789848012796,Araber Chand Ebook,Araber Chand Ebook in BD,Araber Chand Ebook in Dhaka,Araber Chand Ebook in Bangladesh,Araber Chand Ebook in boiferry,আরবের চাঁদ ইবুক,আরবের চাঁদ ইবুক বিডি,আরবের চাঁদ ইবুক ঢাকায়,আরবের চাঁদ ইবুক বাংলাদেশে
স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ এর আরবের চাঁদ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 380 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Araber Chand by Swami Laxman Prasadis now available in boiferry for only 380 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৩৮৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-02
প্রকাশনী মাকতাবাতুল হাসান
ISBN: 9789848012796
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-3 থেকে 3 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Ruponti Shahrin'
    উল্লেখিত ও আলোচিত বইটি লিখেছেন একজন অমুসলিম ব্যক্তি। এটি একটি সিরাতগ্রন্থ। নবীপ্রেমের সবটুকু আবেগ ঢেলে ভালোবাসার মালা গেঁথেছেন যিনি, তিনি লেখক স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ। আমাদের ঈমান, আকিদা রয়েছে, রয়েছে নবীপ্রেম, সিরাতের জ্ঞান থাকলেও তা রয়েছে নিতান্তই অপ্রতুল। অথচ ঈমান-আকিদাবিহীন একজন মানুষ শুধু নবীপ্রেমে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় রচনা করেছেন নজিরবিহীন সিরাত। লিখেছেন হাজার হাজার পৃষ্ঠা। সেখানে আমরা দাবী করি রাসুল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমরা ভালোবাসি। আলোচ্য গ্রন্থটি লেখকের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা হলেও তিনি স্বীকার করেছেন তা তিনি নিজের বিশ্বাসের আলোকেই লিখেছেন। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নয়। আল্লাহর একত্ববাদ এবং মুহাম্মাদ (সা) এর রাসুলুল্লাহ হওয়ার বিষয়কেও তিনি মান্য করেন। কিন্তু কী এমন তাকে মুসলমান হওয়ার পথে বাধা দিল? দুঃখজনক হলেও সত্যি এতকিছুর পরেও তিনি ইসলামধর্ম গ্রহণ করেননি। সত্যিটা এই যে, নামকা ওয়াস্তে মুসলমানদের জীবনধারা। আজ যারা বিপথে। লেনদেন হারামে অস্বচ্ছ। জীবনযাত্রায় নবীপ্রেমের কোনো রুপরেখাই নেই। দেহটাই যাদের মুসলিম, কিন্তু হৃদয়টা প্রাণহীন। এটা লেখকের সময়কার কথা হলেও, বর্তমান সময়েও আমরা এই ধারার মাজেই বিচরণ করছি। যেখানে বর্তমান যুগের হিন্দুস্তান আর জাহেলি যুগের আরব বেদুইনদের মাঝে কোনো তফাৎ নেই। বরং এখন তো বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তখন আরবদের মাঝে অন্তত আত্মীয়তা, রক্তের বন্ধন ও গোত্রের মান-মর্যাদা বিবেচনাবোধ ছিল। কিন্তু এখন সেটাও বিলীন। সব জায়গায় শুধু নিজের প্রবৃত্তির দাসত্ব। এক আল্লাহকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার করে নিলেও, অন্তরে প্রবৃত্তির পূজারী। লেখক স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদের কাছে সেইসময়েই মনে হয়েছে যে, কুফরের আঁধারের মাঝে নিমজ্জিত সমাজকে যদি আলোকিত করতে হয় তো, শুধু একজন মহান মনীষীর আদর্শ ও জীবনী দ্বারাই তা সম্ভব। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনীকেই তিনি পেশ করেছেন হিন্দুস্তানের সামনে। একজন হিন্দু হয়েও তিনি উর্দু ভাষায় খুব উঁচুদরের সাহিত্য রচনা করেছেন। যা কল্পনাতীত। আশ্চর্যজনক! অনুবাদক শাহাদাত হুসাইনের অনেক পরিশ্রমলব্ধ উপস্থাপন ‘আরবের চাঁদ’ আপনার মাঝে অন্যরকম এক ভালোলাগা জাগাবে। অনুবাদক নিজেও গ্রন্থ পাঠের পূর্বে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যেখানে শানে নুযুল এই যে, যেহেতু এই গ্রন্থ শুধুমাত্রই ব্যক্তিগত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ তাই ধর্মীয় গ্রন্থের সমতুল্য নয়। সাধারণ পাঠের উপযোগী করার জন্য গ্রন্থে বর্ণিত ঘটনাগুলোর সূত্র সংযোজন করা হয়েছে, এতে জাল-বানোয়াট ও সংঘর্ষপূর্ণ কিছু রচনা থেকে পাঠক চিন্তামুক্ত থাকতেই পারেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রচিত না হলেও অলিতে গলিতে এই চিত্রই আপনি দেখতে পাবেন, যার বিপরীতে এত কথা। লেখক সমাজের শিক্ষিত মানুষের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে গেছেন- ১) আজকের এই হিন্দুস্তানে কি সভ্যতা, ভদ্রতা ও শালীনতার আইনকানুনকে ধনদৌলত ও অর্থ উপার্জনের কসাইখানায় নির্দ্বিধায় জবাই করা হচ্ছে না? ২) প্রকাশ্যে মদপান কি শিক্ষিত ও সভ্য মানুষদের আনন্দ-বিনোদন বলে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না? ৩) কুপ্রবৃত্তির কামনা ও পাশবিক চাহিদার নির্লজ্জ ঘটনাগুলো কি বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় উপস্থাপন করাকে গর্বের ও কৃতিত্বের বিষয় বলে ভাবা হচ্ছে না? মুসলমান হিসেবে চিন্তিত হওয়ার অনেক অনেক কারণ আছে। চারটি পর্বে পুরো নবিজীবন নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। এতে তিনি কোনো ফাঁক-ফোঁকর রাখেননি। সত্যকে সত্য বলে অস্বীকার করতে ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ উঠে আসেনি। দলিলভিত্তিক আলোচনায় তিনি স্ফুলিংগের মত জ্বলে উঠেছেন। সততা ও আমানতদারির বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লেখা হলো। সমাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গেল জনগণ। কিন্তু যাপিত জীবনে সততা ও আমানতদারির ছিটেফোঁটাও না থাকলে এমন প্রবন্ধ কী কাজে আসবে? তাই মানুষের প্রথম যোগ্যতা হতে হবে আত্মার পরিশুদ্ধি ও উত্তম চরিত্র। এমনটাই লেখকের মতামত। প্রতিটি অধ্যায় এক একটি নসীহা। কার জন্য? আপনার ও আমার জন্য। যে আমাদের জন্য মুসলমানদের আজ গালি শুনতে হচ্ছে। যে যুবসমাজ নারীর সৌন্দর্য, কমনীয়তা ও ভালোবাসার রসে টইটুম্বুর এমন সহজলভ্য বইপুস্তক, নেশা, জুয়া ও মদের আসরে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে ‘প্রেমের শাহজাদা’ হয়ে গেছে তাদের উদ্দেশ্যে। এই গ্রন্থ সেই সকল নারীদের জন্য যারা দুনিয়ার চাকচিক্যে মজেছে কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়ার মত সন্তান লালনে বিমুখ। অলস মস্তিষ্কের সেসকল বুড়োদের জন্য যারা তাদের জ্ঞানকে পরাধিনতার শেকলে জড়িয়েছে। যেখানে সিরাত অধ্যয়ন করার কথা ছিল নিয়মিত। আমরা সেখানে প্রতিদিন অল্পকিছু সময় সিরাতপাঠে ব্যয় করি না। হায় আফসোস! লেখক সিরাত শুধু অধ্যয়ন বা পাঠই করেননি, করেছেন অনুধাবন। সমাজের অবক্ষয়ের পেছনে কী গুরুত্বপূর্ণ ফয়সালা জরুরি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। গ্রন্থ পাঠের সময় পাঠকের হৃদয় বারবার কেঁপে উঠবে, কেন এভাবে ভেবে দেখিনি। বাজারে প্রচুর সিরাতগ্রন্থ রয়েছে। সিরাত রচনার ক্ষেত্রে নবীজীবনের ধারাবাহিকতা এই গ্রন্থেও রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু অন্য গ্রন্থের সাথে তুলনা করলে বলা যায় গ্রন্থ রচনার ইতিহাসটিও তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯১৩ সালে অবিভক্ত ভারতে লেখকের জন্ম। ১৭ বছর বয়সে পারিবারিক কারণে তিনি গৃহত্যাগ করেন। জ্ঞান অর্জনের তীব্র আগ্রহ তাঁকে এনে তোলে চিকিৎসক হেকিম মুহাম্মাদ আবদুল্লাহর বাড়িতে। চিকিৎসা ও ইতিহাসের বিদ্যায় আগ্রহ থাকলেও হেকিম সাহেবের বাড়িতে অধ্যয়ণ করেন অজস্র গ্রন্থ। কালিতে কালিতে লিপিবদ্ধ করেন বেশ কিছু বইয়ের পান্ডুলিপি। দীর্ঘসময়ের ফসল বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। উর্দু সাহিত্যের অনন্য সংযোজন এই বইটি নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। ১৯৩৯ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ইহজগৎ ত্যাগ করেন। তার লিখে যাওয়া ‘আরবের চাঁদ’ গ্রন্থটি অত্যন্ত সুপাঠ্য। এক একটি শিরোনাম যেন সাহিত্যের মুক্তদানা। কিন্তু যার সারনির্যাস অত্যন্ত বজ্রকন্ঠে ধ্বনিত হয়। ক্ষয়িষ্ণু সমাজের জন্য যা সতর্কবার্তা।
    July 04, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'আবিদুল হক'
    "প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। পছন্দ-অপছন্দ থাকে। এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার দৃষ্টিতে, বর্তমান সময়ে আমাদের প্রিয় হিন্দুস্তানের সামনে, যে মহান মনীষীর আদর্শ ও জীবনিকে পেশ করা যেতে পারে, তিনি হলেন নবী-রাসূলদের সর্দার মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। - স্বামী লক্ষণ প্রাসাদ লেখক একজন ভারতীয়। নামই বলে দিচ্ছে তিনি একজন হিন্দু ছিলেন। তবে ভিন্ন ধর্মের হয়েও তিনি আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসেছেন হৃদয়ের গহীন থেকে। নবীজির প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিল হৃদয়জ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি ঐতিহাসিক সীরাতগ্রন্থ 'আরব কা চান্দ' রচনা করে। বইটিতে লেখক নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনি চারটি পর্বে আলোচনা করেছেন। জন্ম থেকে ওফাত পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও বিন্যস্তভাবে আলোচনা করেছেন। সেই সময়ের জাহেলী যুগের চিত্রও স্থান পেয়েছে বইয়ের শুরুর অংশে। প্রতিটি লাইন যেন লেখক তার আবেগ ও ভালোবাসা দিয়ে লিখেছেন। বইটি পড়ার সময় অসম্ভব এক ভালোলাগা কাজ করে। বইটি কেন পড়বেন: মুসলমানদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক সীরাত বা জীবনী অধ্যয়ন শুধু জ্ঞানবৃদ্ধির বিষয়ই নয়, এটা তার দ্বীনি প্রয়োজন। কারণ, মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্পর্শ করেনি। যিনি যতো বেশি সীরাতের গভীরে অবগাহন করবেন, তিনি তত বড় রাসূল প্রেমিকে রূপ নেবেন। নিখুঁত জীবনের সন্ধান পাবেন। মানবিক হয়ে উঠবেন। গঠিত হবে মজবুত ইমান। বই থেকে: "ইসলাম যতটা দয়া, সহমর্মিতা ও সভ্যতা-ভদ্রতার কথা বলে, অন্য ধর্মের গ্রন্থগুলোতে তা খুব কমই দৃষ্টিগোচর হয়। প্রাণের দুশমনের সঙ্গেও দয়া ও সহমর্মিতার আচরণ করা এমনই এক দুর্লভ গুণ, যা দুঃসাহসী ও রাজ্যের পর রাজ্য বিজয় করা কোনো সেনাপতির জীবনিতে পাওয়া তো দূরের কথা, শান্তি-নিরাপত্তা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির বুলি আওড়ায় যারা, তাদের জীবনেও খুব বেশি দেখা যায় না"। "নবীজির দেহ মুবারক এখন এই পৃথিবীতে নেই। তাতে কী? হকের যে বাতি তিনি প্রজ্বলিত করে গিয়েছেন, তা আজও বিরামহীন আলো বিলিয়ে যাচ্ছে"। . রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য সীরাতগ্রন্থ রচিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর রাসূল-প্রেমের এই নজরানা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
    July 04, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'আবিদুল হক'
    "প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। পছন্দ-অপছন্দ থাকে। এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার দৃষ্টিতে, বর্তমান সময়ে আমাদের প্রিয় হিন্দুস্তানের সামনে, যে মহান মনীষীর আদর্শ ও জীবনিকে পেশ করা যেতে পারে, তিনি হলেন নবী-রাসূলদের সর্দার মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"। - স্বামী লক্ষণ প্রাসাদ লেখক একজন ভারতীয়। নামই বলে দিচ্ছে তিনি একজন হিন্দু ছিলেন। তবে ভিন্ন ধর্মের হয়েও তিনি আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসেছেন হৃদয়ের গহীন থেকে। নবীজির প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিল হৃদয়জ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি ঐতিহাসিক সীরাতগ্রন্থ 'আরব কা চান্দ' রচনা করে। বইটিতে লেখক নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনি চারটি পর্বে আলোচনা করেছেন। জন্ম থেকে ওফাত পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও বিন্যস্তভাবে আলোচনা করেছেন। সেই সময়ের জাহেলী যুগের চিত্রও স্থান পেয়েছে বইয়ের শুরুর অংশে। প্রতিটি লাইন যেন লেখক তার আবেগ ও ভালোবাসা দিয়ে লিখেছেন। বইটি পড়ার সময় অসম্ভব এক ভালোলাগা কাজ করে। বইটি কেন পড়বেন: মুসলমানদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক সীরাত বা জীবনী অধ্যয়ন শুধু জ্ঞানবৃদ্ধির বিষয়ই নয়, এটা তার দ্বীনি প্রয়োজন। কারণ, মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্পর্শ করেনি। যিনি যতো বেশি সীরাতের গভীরে অবগাহন করবেন, তিনি তত বড় রাসূল প্রেমিকে রূপ নেবেন। নিখুঁত জীবনের সন্ধান পাবেন। মানবিক হয়ে উঠবেন। গঠিত হবে মজবুত ইমান। বই থেকে: "ইসলাম যতটা দয়া, সহমর্মিতা ও সভ্যতা-ভদ্রতার কথা বলে, অন্য ধর্মের গ্রন্থগুলোতে তা খুব কমই দৃষ্টিগোচর হয়। প্রাণের দুশমনের সঙ্গেও দয়া ও সহমর্মিতার আচরণ করা এমনই এক দুর্লভ গুণ, যা দুঃসাহসী ও রাজ্যের পর রাজ্য বিজয় করা কোনো সেনাপতির জীবনিতে পাওয়া তো দূরের কথা, শান্তি-নিরাপত্তা ও সৌহার্দ-সম্প্রীতির বুলি আওড়ায় যারা, তাদের জীবনেও খুব বেশি দেখা যায় না"। "নবীজির দেহ মুবারক এখন এই পৃথিবীতে নেই। তাতে কী? হকের যে বাতি তিনি প্রজ্বলিত করে গিয়েছেন, তা আজও বিরামহীন আলো বিলিয়ে যাচ্ছে"। . রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য সীরাতগ্রন্থ রচিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর রাসূল-প্রেমের এই নজরানা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
    March 28, 2023
স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ
লেখকের জীবনী
স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ (Swami Laxman Prasad)

স্বামী লক্ষ্মণ প্রসাদ

সংশ্লিষ্ট বই