হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যভুবন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 166.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Annobhubon by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 166.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
একসাথে কেনেন
হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যভুবন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 166.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Annobhubon by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 166.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ৬৪ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2012-02-02 |
প্রকাশনী | অনন্যা |
ISBN: | 9844120047 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
অন্যভুবন হলো মিসির আলী সিরিজের একটি বই। উপন্যাসের শুরুতেই দেখা যায় বরকতউল্লাহ নামের এক লোক মিসির আলীর কাছে দেখা করতে আসেন । ভদ্রলোকটি নিজের কোন সমস্যার জন্য না, তাঁর মেয়ে তিন্নির সমস্যা নিয়ে এসেছেন। মেয়েটি আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক নয়। তার ভেতর অনেক অস্বাভাবিকতা আছে। মাত্র নয় বছর বয়েসী মেয়ের ভেতরে অস্বাভাবিক আর অতিপ্রাকৃত প্রত্যেকটা বিষয়গুলো যেন একেকটা অভেদ্য রহস্যের প্রাচীর। মিসির আলি তিন্নির সাথে কথা বলে কিছুই ধরতে পারলেন না। কারণ মেয়েটি এই জগতের কোনো ঘটনার সাথে জড়িত না। সে জড়িত অচেনা অদেখা অন্যভুবনের সাথে। অদ্ভুত মেয়েটি এমন এমন তথ্য জানে যা একজন সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। সবথেকে অবাক করার বিষয় হলো মেয়েটির অজানা এক ক্ষমতা। মেয়েটি ইচ্ছে করলে যে কাউকে ব্যাথা দিতে পারে। এমনকি মেয়েটি মিসির আলীকে অনেকবার অসুস্থ করে ফেলেছেন। সে অন্ধকারে দেখতে পাই পরিষ্কার। অন্যজগতের গাছের ছবি আঁকে যেগুলোতে অনেকগুলো গাছ দেখা যায় এবং প্রত্যেক ছবিতে ২টি করে সূর্য থাকে। সে অন্য এক জগতের গাছদের সাথে কথা বলে। মিসির আলি এই মেয়েটির সমস্যা সমাধান করতে নেমে গেলেন। কিন্তু সমাধান কি মিসির আলি সাহেব করতে পারবেন? প্রকৃতির কিছু কিছু রহস্য হয়তো সত্যিই অজানা থাকে। সেই সব রহস্য কিছু কিছু মানুষকে ধরাও দেয়। কিন্তু তা সত্যিই কি আমাদের মতো স্বাভাবিক মানুষের জন্য ঠিক? কিছু কিছু রহস্যের পরিণতি এতটা কঠোর হয় যে তা আসলেই অন্যভুবনের জন্যই প্রযোজ্য। এই বইয়ে গল্পের শেষে দেখা যায় মিসির আলী বিয়ে করে সংসার করেন যে বিষয়টা একটু খটকা লেগেছে। মিসির আলী সিরিজের অন্য সকল বই পড়ে বোঝা যায় তিনি কখনো বিয়ে করেননি এমনকি হুমায়ূন আহমেদ নিজেও এই বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এই বইয়ে শেষে কিভাবে এই বিষয়টা আসলো বুঝতে পারিনি।
June 30, 2022
হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।