আহমাদ সাব্বির এর আমার ঘুম আমার ইবাদত এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 82.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Amar Ghum Amar Ebadot by Ahmad Sabbiris now available in boiferry for only 82.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
আমার ঘুম আমার ইবাদত (হার্ডকভার)
৳ ১৫০.০০
৳ ১১৫.৫০
একসাথে কেনেন
আহমাদ সাব্বির এর আমার ঘুম আমার ইবাদত এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 82.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Amar Ghum Amar Ebadot by Ahmad Sabbiris now available in boiferry for only 82.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ৯৬ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2020-02-02 |
প্রকাশনী | নাশাত পাবলিকেশন |
ISBN: | |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-2 থেকে 2 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Siraajam Binte Kamal'
প্রারম্ভিকা: ------------------- একজন মুমিনের জীবন অন্য সবার মতোই চলবে। অন্যদের মতোই জীবনের নানাবিধ কর্মকান্ডে শামিল হবে সে। মুমিন যাপিত জীবনের কোন এক ফাঁকে ইবাদত করবে এমন নয়, বরং তার জীবনযাপনই হবে ইবাদত। তার ঘুম, জাগরণ ; তার মৃত্যু, বেঁচে থাকা- সবই হবে ইবাদত। আর এটা তখনই হবে যখন মুমিনের দিনযাপন হবে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশমতো। আর এখানেই পার্থক্য একজন মুমিনের সাথে একজন অ-মুমিনের। ঘুম আর জাগরণের মধ্যেও যে আমাদের নাজাতের উপাদান রয়েছে, কুরআন- সুন্নাহর অনুসরণে একদমই পার্থিব প্রয়োজন যে ঘুম, তাতেও যে রয়েছে আমাদের পাপ-পুণ্যের অংশ তার সংক্ষিপ্ত চিত্রায়নই এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। . বই অভ্যন্তরে: ----------------------- ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়া থেকে ঘুম থেকে উঠা পর্যন্ত সকল বিষয় নিয়ে আদ্যোপান্ত আলোচনা নিয়ে সাজানো হয়েছে বই "আমার ঘুম আমার ইবাদত"। হয়তো মনে হবে এগুলো তো জানি, নিত্যকার কাজকর্ম। হ্যাঁ, নিত্যকার কাজকর্ম। কিন্তু আমরা জানিনা কীভাবে নিত্যদিনের কাজগুলো করেই নেকি কুড়ানো যায়। আর এসব কিছুই আলোচিত হয়েছে বইটিতে। বইটিতে মোট ৩০টি টপিকে কথা বলা হয়েছে যা আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। খুবই ছোটছোট কিছু কাজের মাধ্যমে পালন করা যায় নবীর সুন্নাহ সাথে কুড়ানো যায় সওয়াব। যেমন: . ওযু করে ঘুমাতে যাওয়া, বিছানা ঝেড়ে নেওয়া, বাতি নিভিয়ে দেওয়া, ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো, ঘুমানোর আগে ইস্তেগফার করা, উপুর হয়ে না শোয়া, খোলা আকাশের নিচে না ঘুমানো, ঘুমানোর আগে সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া, রব্বকে স্মরণ করা, দরজা বন্ধ করা এসব কিছুই আমাদের ইবাদতের অংশ বিশেষ হয়ে যাবে, ইন শা আল্লাহ! . তাছাড়া অনেকে ঘুমের ঘোরে আঁতকে ওঠেন, খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পান, ঘুম ভেঙে যায়, আবার কেউ কেউ শয়তানের ধোকার শিকার হন, কেউ একা ঘুমালে শয়তান দুষ্টুমি করার সুযোগ পেয়ে যায়। এ-সমূহ সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় কী বা আপনার করণীয় কী এমন পরিস্থিতিতে এসব কিছুই আলোচিত হয়েছে বইটিতে। . তাছাড়া বইটিতে কিয়ামুল লাইলের গুরুত্ব, শেষ রাতের ইস্তেগফার, শেষ রাতের ক্ষমাপ্রার্থনা, কিয়ামুল লাইলের জন্য অন্যকে ডেকে দেওয়া- সমূহ বিষয়গুলো খুব লোভনীয় ভাবে হাদীসের বর্ণনাসহ লেখক আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। . এছাড়াও তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা, ভোরে জেগে উঠার ফজীলত, উপার্জনে, কাজে-কর্মে বারাকাহ পাওয়া সবকিছুই আলোচিত হয়েছে ছোট্ট এই বইটিতে। কেনো পড়বেন বইটি: ------------------------------- বইটি কেনো পড়বেন তা হয়তো আর বলার অপেক্ষা রাখছে না। আমি মনে করি বইটা আমাদের জন্য একটা গাইডলাইন। আমরা গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হাইলাইট করে নিব আর ঘুমানোর আগে বা ঘুম থেকে জেগে প্রয়োজনীয় দু'আ দরুদ পাঠ করে নিবো, ইন শা আল্লাহ! বইটিতে ঘুমানোর দু'আ, ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে পাঠ করার দু'আ এগুলোও খুব সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং বইটি কেনো পড়বেন তা আপনিই ভাবুন। শেষ কথা: --------------------- মুমিন মানেই হবে সুযোগসন্ধানী। না কোন অশ্লীল বা পাপ কাজের সুযোগ না। মুমিনগণ অবশ্যই নেকি কুড়ানোর সুযোগ খুঁজবে জীবনের পরতে পরতে। হতেও পারে এই ঘুম আমাদের শেষ ঘুম। হতে পারে রব্ব আমাদের রুহ আর ফিরিয়ে দেবেন না, আমরা চলে যাবো না ফেরার দেশে। কিন্তু কেমন হবে যদি আমাদের সমাপ্তি হয় গাফেলদের মতো। এর'চে খারাপ কিছু মুমিনের জন্য, একজন মুসলিমের জন্য আর কি হতে পারে! আমরা ঘুমানোর আগের সুন্নাহগুলো যদি পালন করি আর আমাদের যদি মৃত্যুও হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু আমরা সুন্দর সমাপ্তি পাবো, ইন শা আল্লাহ! আমরা আমাদের জীবনের এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটাই। আর তাই ঘুমের সময়টাকে হেলা করা উচিত নয়। আমরা আমাদের ঘুমকেও ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত করে নিব ইন শা আল্লাহ!
June 25, 2022
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Maimuna Rahman'
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন কি?.. প্রতিদিন যদি আমরা আমরা আট ঘণ্টা ঘুমায় তাহলে আমাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা অবশিষ্ট থাকবে এতে আপনার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই ঘুমে কেটে যাচ্ছে আর বাকিটা দুনিয়াবি কাজে। তাহলে আপনার রবের সামনে কি নিয়ে দাঁড়াবেন? যখন তিনি বলেছেন " আমি জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য " ( সূরা যারিয়াত:৫৬) চলুন ফিরে আসি আর আমাদের রবের ইবাদত করি। আমাদের প্রিয়নবী (স.) এর সুন্নত গুলো মেনে চলি। প্রথমে ঘুম দিয়েই শুরু করা যাক,যেহেতু আমরা বেশির ভাগ সময়ই ঘুমের মধ্যে পার করি। তাহলে প্রথমে ঘুমের পরিবর্তন আগে আনা জরুরি। বই থেকে: -তাহলে কখন ঘুমাবো? আবূ বারযাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারী: ৫৬৮) এই হাদিস দ্বারা ইশার আগে ঘুমিয়ে ইশার নামায কাযা না করা আর ইশার পর গল্প করলে রাতে ঘুমাতে দেরি হওয়ায়, ফজরের নামায কাযা হওয়ার প্রবল আশঙ্কা আছে। আর শেষ রাতে তাহাজ্জুদ মিস না হওয়ার জন্য ইশার পরে ঘুমিয়ে পড়া উত্তম। রাতের কিছু আমলঃ প্রথমে আমরা জেনেছি ইশার পর ঘুমিয়ে পড়া। ঘুমানোর আগে সূরা মুলক ও সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াত পড়া। ঘুমানোর আগে অজু করা। বিছানা ঝেড়ে নেওয়া ডান কাধেঁ ঘুমানো ঘুমানো আগে রবের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া (মুসনাদে আহমাদ:১২৬৩৩) এছাড়া বইটি তে তাহাজ্জুদ এর প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর তাহাজ্জুদ এর ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন " আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন। (সূরা আল ইসরা:৭৯) বইটি যে কারণে পড়া উচিত: আমাদের প্রত্যেক দিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে হয়। ব্যস্ততার এই শহরে ক্লান্ত পথিক সকলেই। ফলে রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করলে ও রুটিনটা মনের মতো বানানো হয়ে উঠে না সময়ের অভাবে। অনেকে ঘুম নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে। বিশেষ করে সদ্য দ্বীনে ফেরা একজন ব্যাক্তি বুঝে উঠতে পারে না, সে কখন ঘুমাবে আর কখন ইবাদত করবে। এই নিয়ে প্রায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। তার জন্য আহমাদ সাব্বিরের লেখা একটি চমৎকার বই ' আমার ঘুম আমার ইবাদত '...। একজন মুমিনের জন্য বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বইটি তে আমরা ঘুমের আদব শিখতে পারবো।
June 28, 2022
আহমাদ সাব্বির (Ahmad Sabbir)
আহমাদ সাব্বির এই সময়ের তরুণ লেখক। তার জন্ম ১৯৯৬ সালে ১৪ জুলাই এবং জন্মভূমি মাগুরা সদরের হাওড় গ্রামে। পাইকগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে আসেন খুলনায়। খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা থেকে তিনি কুরআনে হাফেজ হন। স্বপ্ন-বিভোর কিশোর অবুঝ সম্মোহনে চলে আসেন যাদুর শহর ঢাকায়, বুঝে ফেলেন জীবন, প্রেম, প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের রহস্য। অবশেষে গল্পের পথ ধরেন। পড়ালেখাও চলতে থাকে সমান তালে। ধর্মীয় শিক্ষার সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে করতে ক্লাসিক সাহিত্যের পাঠও সেরে নেন। অল্পবয়সেই কথাশিল্পের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এরই মধ্যে দু-দুটি মৌলিক বই লিখে শেষ করেছেন।