একজন চিন্তাবিদ বা লেখকের সৃষ্টিকর্মসমূহ তখনই সাবলীলভাবে প্রস্ফুটিত হয় যখন তার পরিবেশ অনুক‚লে থাকে। পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতা লাভ করেন, বিশেষ করে সহধর্মিনীর ধৈর্যপূর্ণ আন্তরিক সান্নিধ্য লাভ করেন। মাওলানা মওদূদী (রহ.) তেমনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এমন এক পরিবার নিয়ে একটি মহৎ আন্দোলনকে সাজিয়েছিলেন, যে পরিবারে ছিলো ৯ জন শিশু-কিশোর, মা এবং হাঁপানী রোগগ্রস্ত সহধর্মিনী। তবুও তিনি লেখালেখি ও সাংগঠনিক তৎপরতা ছন্দপতনহীনভাবেই পরিচালিত করেন। ‘যে বৃক্ষরাজির ছায়ায় বেড়ে উঠেছি : আমার আব্বা আম্মা’ বইটি মূলত মা-বাবার জীবনকাহিনি নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে মাওলানা মওদূদীর সম্মানিত মায়ের চরিত্র নিউক্লিয়াসের মতো ফুটে উঠেছে। এছাড়া নানা-নাতনীর চরিত্রগঠনে একজন দাদীর ভূমিকা। পুত্রবধুর সাথে জীবন সংগ্রামে সহযোদ্ধার সম্পর্ক, পাশাপাশি সন্তানদের জন্ম থেকে আজীবন সুখ-দুঃখ আনন্দ- বেদনার অকৃত্রিম নিঃস্বার্থ সঙ্গী এক জননীর ভ‚মিকা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এসবের বর্ণনা সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন মাওলানা মওদূদীর স্নেহাস্পদ কন্যা সাইয়েদা হুমায়রা মওদূদী রচিত বইটির, মূল উর্দূ নাম ‘হামারে ওয়ালেদীন : শাজার হায়ে ছায়েদার’।