শাহাদাতে বলা হয়েছে, “অর্থাৎ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার আবৃদ বা বান্দা এবং তাঁর রাসূল।” কাজেই ইবাদত-আনুগত্যের মাধ্যমে সঠিক অর্থে মহান আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করাই বান্দার অপরিহার্য কর্তব্য। এই অনুভূতি মনে-প্রাণে সদা জাগ্রত রাখতে হবে। প্রতিনিধির স্বভাব-গুণে সুসজ্জিত হতে হবে। প্রতিনিধিত্বের কাজ করতে হবে। মহান আল্লাহর খেলাফত ও প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিনিধি হয়েই থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিনিধিত্ব ও খেলাফতের এই দায়িত্ব অবস্থা ও অবস্থানের সাথে গণ্ডিবদ্ধ নয়; বরং ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী। প্রান্তিক বা আংশিক নয়; বরং জীবনব্যাপী কর্মসূচি ও আমরণ দায়িত্ব। মুমিনের চুড়ান্ত লক্ষ্য। মানবজাতি যেন সঠিক ও সুচারুরূপে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চুড়ান্ত ও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় সে উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ গােটা বিশ্বকে মানুষের কল্যাণ ও সহযােগিতার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুকে তার অনুগত করে দিয়েছেন। আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- অর্থ : তিনিই (আল্লাহ) জমিনে যা আছে সব তােমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা বাকারা, ২: ২৯)