ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তীতূল্য ব্যক্তিত্ত্ব একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা জব্বার এর কর্মকাণ্ড কেবল আইসিটি জগতেই সীমিত নয়, বরং দেশব্যাপী সাধারণ শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারেও তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তার মােইলফলক কাজের মাঝে রয়েছে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ, প্রচলন ও বিকাশের যুগান্তরকারী বিপ্লব সাধান করা ।তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক, কলামিষ্ট ও সামাজকর্মী মোস্তফা জব্বার এরই মাঝে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ১৬ টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। একুশ শতকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনিই দেখেছেন। তিনিই এর কর্মসূচি তৈরি করেছেন এবং তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য অহোরাত্র কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রীপ্রাপ্ত মোস্তফা জব্বারে পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে। ১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়ীতে তাঁর জন্ম। ১৯৬৬ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে হবিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে মানবিক শাখায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। এরপর তিনি মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৬৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। সেই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা কালে মোস্তফা্ জব্বার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাড়ির পাশের সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৬১ জহন রাজাকার যুদ্ধোরতকালে তাঁর কাছে আত্নসমর্পন করে, যার মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে। ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্যচর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য-আন্দোলন;এসবের মাঝে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।
মোস্তফা জব্বারের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি সাংবাদিকতার মধ্যে দিয়ে। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি সরাসরি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। এরপর ট্রাভেল এজেন্সী,মুন্দ্রণালয়, সংবাদপত্র ইত্যাদি ব্যবসায় যু্ক্ত হন। তিনি ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব ( এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ) এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল ম্যাকিন্টোস কম্পিউটারের বোতাম স্পর্শ করার মধ্য দিয়ে কম্পিউটার ব্যবসায়ে প্রবেশ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি প্রকাশ করেন বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফ্টওয়ার । সেটি প্রথমে ম্যাকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রণয়ন করেন। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ তিনি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যেও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফ্ওয়ার প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সংবাদপত্র, প্রকাশনা ও মুদ্রণশিল্পের ডিটিপি বিপ্লবের অগ্রনায়ক। তিনি আনন্দ প্রিন্টার্স ও আনন্দ মুদ্রায়ণের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর হাতেই গড়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা নিউজসার্ভিস সম্পাদক।
তিনি ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কোষাদক্ষ ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফ্ওয়ার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০১০-১১ সপালে তিনি তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোস্তাফা জব্বার এর একাত্তর ও আমার যুদ্ধ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 375.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Akattor O Amar Judho by Mostofa Jobberis now available in boiferry for only 375.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.