Loading...

আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান (হার্ডকভার)

রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা

বিষয়: বিবিধ
স্টক:

১৮০.০০ ১৫৬.৬০

আদর্শ দাম্পত্য জীবন ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান ইসলাম পারিবারিক জীবনে শৃঙ্খলা রক্ষা করার ব্যবস্থা দান করেছে, কোন জায়গায় উচ্ছখলার প্রশ্রয় দেয়নি। যেখানেই দু’জন মানুষ একত্র হয়ে কোন কাজ করতে যাবে, সেখানে যদি একজনকে নেতা, দ্বিতীয় জনকে তার অধীনস্থ স্বীকার না করা হয়, যদি একজন আর একজনের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ না করে, একজনে যে কাজ করে অন্যজনকে যদি তার খবর না দেয়। যার যার নিজের মনমত চলে, তবে বিশৃংলা দেখা দেবে, সে কাজ কিছুতেই সুসম্পন্ন হবে না। এজন্যই ইসলামী শরীয়তে এই ব্যবস্থা রয়েছে, “যদি তােমরা কোন কাজে কোথাও মাত্র তিনজন মানুষও যাও তবুও একজনকে আমীর বানিয়ে বাকী দুইজন তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।” I এখন বিচার্য বিষয় এই যে, পরিবারের সূচনা হয় একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রীলােকের আজীবন মিলন বন্ধনের দ্বারা। এখন এই দুইটি মানুষকে, প্রত্যেককেই স্বেচ্ছাচারী ছেড়ে দিতে হবে? না একজনের অধীনে অন্যজনকে এনে একটি শৃঙ্খলার বন্ধনে উভয়কে আবদ্ধ করতে হবে। আর যদি শৃঙখলাবদ্ধ করতে হয়, তবে কাউকে নেতা আর কাউকে অধীনস্থ করতে হবে? স্ত্রীকে নেতা করে পুরুষকে স্ত্রীর অধীনস্থ করতে হবে? না পুরুষকে নেতা করে স্ত্রীকে স্বামীর অধীনস্থা করতে হবে? ইসলামী শরীয়তে মােকাদ্দাছা দুইজনকে বিশৃঙ্খল থাকতে দেয়নি এবং নেতৃত্ব দান করেছে পুরুষকে, স্ত্রীকে নয়। কিন্তু যেমন অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলাম নেতৃত্বের অর্থ অত্যাচার বা জোর জবরদস্তি করেনি; বরং নেতৃত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছে স্নেহ-মমতা সহকারে খেদমত এবং পরামর্শ সহকারে কাজ চালান, ঔদ্ধত্য ও বেয়াদবী নয় বা জুলুম জবরদস্তিও নয়, এক্ষেত্রেও দ্রুপ। যেহেতু দু’জন মানুষ এক কাজে একত্র হলেই মত বিরােধ হওয়া অস্বাভাবিক নয় মােটেই, সুতরাং মতবিরােধ উপস্থিত হলে প্রথম ধাপে ত দুইজনের মনের মিল সাধণেরই চেষ্টা করতে হবে এবং সহ্য ও ধৈর্য ধারণ করতে বলা হবে, কিন্তু যদি কালক্রমে দুইয়ের মধ্যে মিল সাধন না করা যায়, তবে এই দুইয়ের মধ্যে যে আল্লাহর নামে শপথ করে জীবন চুক্তি বিবাহ সাধিত হয়েছে, সেই চুক্তি শেষ করে দেয়ারও পথ ইসলামী শরীয়তে মােকাদ্দাছায় আছে। কিন্তু সে চুক্তি শেষ করার অধিকারও নেতার হাতে থাকবে, নতুবা বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। অবশ্য নেতা যাতে জুলুম না করতে পারে সেজন্য মিলন চুক্তির সঙ্গে।
Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan in boiferry,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan buy online,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan by Ruhani Shaikh Hazrat Maolana Emamuddin Md. Twoha,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান বইফেরীতে,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান অনলাইনে কিনুন,রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা এর আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান,984838023X,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan Ebook,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan Ebook in BD,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan Ebook in Dhaka,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan Ebook in Bangladesh,Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan Ebook in boiferry,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান ইবুক,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান ইবুক বিডি,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান ইবুক ঢাকায়,আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান ইবুক বাংলাদেশে
রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা এর আদর্শ দাম্পত্য জীবন বা স্বামী-স্ত্রীর মিলন বিধান এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 162.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Adarsho Dampotto Jibon Ba swami Strir Milon Bidhan by Ruhani Shaikh Hazrat Maolana Emamuddin Md. Twohais now available in boiferry for only 162.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৬০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী মাহমুদ পাবলিকেশন্স
ISBN: 984838023X
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা
লেখকের জীবনী
রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা (Ruhani Shaikh Hazrat Maolana Emamuddin Md. Twoha)

রূহানী শাইখ হযরত মাওলানা এমামুদ্দীন মোঃ ত্বহা জন্ম: বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানাধীন ঘি-গড়া গ্রামে ১৯৬৫ সনের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।পিতা মরহুম নূর মোহাম্মদ হাওলাদার,মাতা আনোয়ারা বেগম। শিক্ষা জীবন : প্রাথমিক শিক্ষা পিতার থেকেই গ্রহণ করেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সমাপ্ত করেন। এরপর ১৯৭১ সনে চতুর্থ শ্রেণীতে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করে ১৯৭৭ সনে বৃত্তি সহ দাখিল পাস করেন। ১৯৭৯ সনে আলিম ও ১৯৮১ ফাযিল এ উভয় জামায়াতে বৃত্তী সহকারে উত্তীর্ণ হন।সর্বস্তরের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ১৫/২/১৯৮২ তারিখে পত্র নম্বর ৪৭৪/৩৩/এ - ১৪ অনুযায়ী বৃত্তি শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির মর্যাদা লাভ করেন। তার সার্বিক ওস্তাদ মরহুম মাওলানা জায়নুল আবেদীন এর পরামর্শে চরমোনাই কামিল মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ১৯৮৩ সনে কামিল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। আর মান উন্নয়ন ও প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ছাত্র জীবন থেকেই কুরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, বই পুস্তক লেখার ও বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ফার্সি কবিতা লিখেছেন। অনেক বইয়ের অনুবাদ ও করেছেন। তার কবিতা ও লেখার অধিকাংশই রুহানিয়াতে ভরা হওয়ার কারণে রুহানী কবি খেতাব প্রাপ্ত হন। কর্ম জীবন: ছাত্র জীবন থেকেই তার প্রতি অনেক মাদরাসা হতে শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব আসে। কামিল শেষ করেই ১৯৮৩ সনে নওপাড়া ফাযিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বরগুনা মোকামিয়া মাদরাসার কতৃপক্ষ তাকে বিশেষ অনুরোধ করে মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ দেন। চরমোনাইর কামিল মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা জহুরুল হক সাহেব তার ১৯৮৩ সনের কামিলের রেজাল্ট এর প্রতি প্রভাবিত হয়ে তাকে চরমোনাই মাদরাসায় আনার জন্য চেষ্টায় থাকেন। কিন্ত মাদরাসার পদ শূন্য না থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৭ সনে চরমোনাই মাদরাসার আরবি প্রভাষকের শুন্য পদ হওয়ায় তাঁকে যোগদানের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন। কিন্ত তখন তার বিবিধ অসুবিধার কারণে যোগদান সম্ভব না হওয়ায় ১৯৯২ সনের মার্চ মাস থেকে বর্তমান (২০২১) পর্যন্ত আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং এখন পর্যন্ত (২০২১) নিয়োজিত আছেন। উল্লেখ্য যে,উক্ত সময়ের মধ্যে ঝালকাঠী জেলার নেছারিয়া কামিল মাদরাসা ও পিরোজপুর জেলার ছারছীনা কামিল মাদরাসায় নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন,তাকে চরমোনাই মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ছাড়তে রাজি হননি। ২০১১ সালে চরমোনাই মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ খালি হলে বর্তমান পীর রেজাউল করিম সাহেব ও মুফতী ফয়জুল করিম সাহেব হুজুর তাকে অধ্যক্ষের পদে যোগদানের বিশেষ অনুরোধ করেন। কিন্ত, তিনি অল্পেতুষ্ট ও লিখার কাজে বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনায় উক্ত প্রস্তাবে রাজি হননি। লেখালেখির ক্ষেত্রে তার বিশেষ দক্ষতা থাকায় ছাত্র জীবন থেকেই বর্তমান পর্যন্ত ১০০০ - এর উপরে বই রচনা করেন। এমন কি তার আরবি ভাষায় লিখিত طريق النعيم"তরীকুন্নাইম" বইটি পবিত্র মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়। "ইসলামি জীবন" নামে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক লেখা দিয়ে প্রতি মাসে বই আকারে প্রকাশ করে ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য বিনা মূল্যে বিতরণ করেন। এ সংখ্যা বর্তমানে ৮০ তে দাঁড়িয়েছে আর বইয়ের সংখ্যায় প্রায় দশ লাখের অধিক। লেখকের রচিত গ্রন্থাবলী তারই স্নেহধন্য ছাত্র "মাওলানা মাহমুদ হোসাইন সেলিমের প্রতিষ্ঠিত মাহমুদ পাবলিকেশন্স এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। তিনি মুসলিম উম্মাহ এর জন্য তার বইয়ের কোন রয়েলিটি বা স্বত্ব মালিকানা না রেখে ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য ওয়াকফ করে দেন। ২০০৩ সালে শিক্ষকতার পেশায় অতি সন্মানের খ্যাতি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক শ্রেষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষক বিবেচিত হন। এ সালেই তিনি পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তার কর্মময় জীবন রুহানিয়াতে ভরপুর হওয়ার কারণে তিনি রুহানী শায়েখ নামে পরিচয় লাভ করেন। তিব্বে নববী বিশেষজ্ঞ: তিনি মহান আল্লাহর দয়ায় প্রতি জুম্আ বার অসংখ্য মানুষকে তিব্বে নববীর নমুনায় চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমনও নমুনা রয়েছে যে, তার চেহারার দর্শন ও তদবীরে অসংখ্য পাগল ও বোবা রোগীর রোগ ভাল হয়েছে। মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা: রুহানী শায়েখ নিজে ও তাঁর ছাত্রদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ --২৫ টি মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বই