একদল মানুষের মধ্যে যখন থেকে নিজেদের উদ্বৃত্ত প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি ঐ দ্রব্যাদির প্রয়ােজন বােধকারী অপর দলের নিকট বিলিয়ে দিয়ে নিজেদের প্রয়ােজনীয় আর এক ধরনের দ্রব্যাদি সংগ্রহের প্রবণতা সূচিত হয়েছিল তখন থেকে সূচিত হয়েছিল বিনিময় প্রথা। কিন্তু এ প্রথাটি ততদিন ধরে রাখা সম্ভব হয়েছিল যতদিন পর্যন্ত মানুষের চাহিদা কেবল নির্ধারিত একটি ভূখণ্ডে পাওয়া যাওয়া সম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে একদল মানুষের এমনসব দ্রব্যাদির প্রয়ােজন দেখা দিয়েছিল যা সে দলের ভূখণ্ডে বা পড়শি ভূখণ্ডে পাওয়া যেত না। সে অবস্থায় ঐ দলের মানুষকে দূর থেকে দূরান্তে গাঁটরি-পেটরা বেঁধে উদ্বৃত্ত দ্রব্যাদি বয়ে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি বয়ে নিয়ে আসতে হতাে। আর সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে মানুষ প্রথম উদ্ভাবন করেছিল exchange token/বিনিময়ের নানান মাধ্যম। সে ধারাবাহিকতার পরবর্তী ফলশ্রুতি ছিল mercantile token/বাণিজ্যিক প্রতীক। ইতিহাসের জনক হেরডােটাসের বিবরণ থেকে জানা যায়,খ্রিপূ. ৫১৮-৩৫০ সালের দিকে অর্থকরী বিনিময়ের মাধ্যম ছিল সােনার গুঁড়াে । অন্যান্য সূত্র থেকে গ্রিস ও রােমে ষড়; চীনে কচ্ছপের খােলক, পিতল, কড়ি, সিল্ক ও চা'ল; ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে নখ; আফ্রিকার কোনাে কোনাে খুদেজনগােষ্ঠীর মধ্যে পাখি, খনিজ লবণ ও ছাগলের চামড়া (বিশেষ করে বালুবা খুদেজনগােষ্ঠী ও কঙ্গোতে কনেপণ হিসেবে এক ধরনের ধাতব ক্রস দিয়ে); নিউগিয়েনা ও ফিলিপাইনে ৩.৬ মি. লম্বা পাথরের চাই; ভারতে গরুসহ সােনার হার ও শস্যদানা, আরবে কাচের খণ্ড এবং বাংলাদেশে ধান প্রচলিত ছিল।