যারা পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি পরিপূর্ণ যতœবান আল­াহ তা‘আলা তাদেরকে আপন প্রেমপাত্ররূপে স্বীকৃতি দিয়েছেন। নবী করীম # ইরশাদ করেন الطهور شطر الايمان পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। অর্থাৎ, আত্মাকে পবিত্র রাখা অর্ধেক ঈমান এবং শরীর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা অর্ধেক ঈমান। আত্মাকে পবিত্র করার অর্থ হচ্ছে : কুফর ও শিরক, নাফরমানি ও গোমরাহির পঙ্কিলতা থেকে আত্মাকে মুক্ত করে বিশুদ্ধ আকীদা ও পবিত্র আখলাক দ্বারা তাকে পরিশীলিত করা। শারীরিক পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম হচ্ছে : শরীরকে বাহ্যিক অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবহারিক রীতিনীতি দ্বারা পরিশোভিত করা যেমনÑ ১. শয্যাত্যাগ করা বা নিদ্রা থেকে জাগার পর হাত ধৌত না করে পানির পাত্রে হাত দেয়া উচিত নয়। কেননা নিদ্রামগ্ন থাকাকালে হাত কোথায় অবস্থান করছিল তা জানা নেই। ২. গোসলখানার মেঝেতে প্রস্রাব করা থেকে বিরত থাকা দরকার, বিশেষ করে যখন গোসলখানার মেঝেটি মাটির হয়। ৩. পায়খানা-পেশাবের সময় কিবলামুখী হয়ে বসা উচিত নয় এবং কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়েও বসা উচিত নয়। বাহ্য প্রস্রাবের পর ঢিলা কুলুখ এবং পানি দ্বারা শৌচকার্য সম্পন œকরা উচিত অথবা কেবল পানি দ্বারাও পবিত্রতা হাসিল করা যায় (তবে পর্যাপ্ত পানি দরকার)। শুকনা গোবর, হাড়, কয়লা ইত্যাদি দ্বারা ইসতিনজা করা অনুচিত। ইসতিনজা করার পর সাবান কিংবা মাটি দ্বারা উত্তমরূপে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ৪. পায়খানা-প্রস্রাবের আবশ্যকতা দেখা দিলে পানাহারে মশগুল হবে না, পায়খানা-পেশাব সেরে পানাহার করবে। ৫. পানাহার করার ক্ষেত্রে ডান হাত ব্যবহার করা উচিত, ওযু করার বেলায়ও ডান হাত দ্বারা আরম্ভ করতে হবে। শৌচকার্য সম্পাদন, নাক পরিষ্কার করা ইত্যাদির সময় বাম হাত ব্যবহার করা উচিত। ৬. নরম জায়গায় পেশাব করা উচিত যাতে পেশাবের ছিটা কাপড়-চোপড়ে না লাগে। সর্বদা বসে পেশাব করা বাঞ্ছনীয়। তবে যদি স্থান বসার উপযুক্ত না হয় অথবা অপর কোনো অসুবিধাজনক ব্যাপার ঘটে যায় তাহলে দাঁড়িয়ে পেশাব করা যাবে। কিন্তু সাধারণত এটা অত্যন্ত কদর্য অভ্যাস যা থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা আবশ্যক। ৭. নদী, খাল-বিলের ঘাটসমূহে, জনগণের যাতায়াত পথে এবং ছায়াদার স্থানসমূহে পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য বসা অনুচিত। এতে আপামর জনগণের কষ্ট হয়, অধিকন্তু সৌজন্য ও ভদ্রতা বিরুদ্ধ কাজ। ৮. পায়খানায় যাওয়ার সময় জুতা পরিধান করে এবং মাথায় টুপি ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। আর পায়খানায় যাওয়ার সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে নেবেÑ ا َّ لل مُه ا ن ى ُ ا خْ ب ك م ن ال ُذْوُع خ ب ْ و ال ُثْب ا ـ ئ ث ‘‘হে আল­াহ! তোমার নিকট নর শয়তান ও স্ত্রী শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাই’’।১ পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়া পড়ে নিতে হবে ا ْ لِل ُدْ ح م ْل ذ ى َّ ال ْ ا ه ب ع ن ى الا ْذ ذ ى ْ و ع اف ان ى ـ ‘‘আল­াহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরীভূত করেছেন এবং আমাকে সুস্বাস্থ্য দান করেছেন’’।২ ৯. নাক পরিষ্কার করা কিংবা কফ (শ্লেষ্মা) ফেলার সময় সতর্কতার সাথে পিকদানি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় অথবা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থেকে এ ধরনের জরুরি কাজ সেরে নেয়া উচিত। ১ বুখারী ও মুসলিম ২ নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ যারা পবিত্রতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি পরিপূর্ণ যতœবান আল­াহ তা‘আলা তাদেরকে আপন প্রেমপাত্ররূপে স্বীকৃতি দিয়েছেন। নবী করীম # ইরশাদ করেনÑ الطهور شطر الايمان পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। অর্থাৎ, আত্মাকে পবিত্র রাখা অর্ধেক ঈমান এবং শরীর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা অর্ধেক ঈমান। আত্মাকে পবিত্র করার অর্থ হচ্ছে : কুফর ও শিরক, নাফরমানি ও গোমরাহির পঙ্কিলতা থেকে আত্মাকে মুক্ত করে বিশুদ্ধ আকীদা ও পবিত্র আখলাক দ্বারা তাকে পরিশীলিত করা। শারীরিক পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম হচ্ছে : শরীরকে বাহ্যিক অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবহারিক রীতিনীতি দ্বারা পরিশোভিত করা যেমনÑ ১. শয্যাত্যাগ করা বা নিদ্রা থেকে জাগার পর হাত ধৌত না করে পানির পাত্রে হাত দেয়া উচিত নয়। কেননা নিদ্রামগ্ন থাকাকালে হাত কোথায় অবস্থান করছিল তা জানা নেই। ২. গোসলখানার মেঝেতে প্রস্রাব করা থেকে বিরত থাকা দরকার, বিশেষ করে যখন গোসলখানার মেঝেটি মাটির হয়। ৩. পায়খানা-পেশাবের সময় কিবলামুখী হয়ে বসা উচিত নয় এবং কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়েও বসা উচিত নয়। বাহ্য প্রস্রাবের পর ঢিলা কুলুখ এবং পানি দ্বারা শৌচকার্য সম্পন œকরা উচিত অথবা কেবল পানি দ্বারাও পবিত্রতা হাসিল করা যায় (তবে পর্যাপ্ত পানি দরকার)। শুকনা গোবর, হাড়, কয়লা ইত্যাদি দ্বারা ইসতিনজা করা অনুচিত। ইসতিনজা করার পর সাবান কিংবা মাটি দ্বারা উত্তমরূপে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ৪. পায়খানা-প্রস্রাবের আবশ্যকতা দেখা দিলে পানাহারে মশগুল হবে না, পায়খানা-পেশাব সেরে পানাহার করবে। ৫. পানাহার করার ক্ষেত্রে ডান হাত ব্যবহার করা উচিত, ওযু করার বেলায়ও ডান হাত দ্বারা আরম্ভ করতে হবে। শৌচকার্য সম্পাদন, নাক পরিষ্কার করা ইত্যাদির সময় বাম হাত ব্যবহার করা উচিত। ৬. নরম জায়গায় পেশাব করা উচিত যাতে পেশাবের ছিটা কাপড়-চোপড়ে না লাগে। সর্বদা বসে পেশাব করা বাঞ্ছনীয়। তবে যদি স্থান বসার উপযুক্ত না হয় অথবা অপর কোনো অসুবিধাজনক ব্যাপার ঘটে যায় তাহলে দাঁড়িয়ে পেশাব করা যাবে। কিন্তু সাধারণত এটা অত্যন্ত কদর্য অভ্যাস যা থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা আবশ্যক। ৭. নদী, খাল-বিলের ঘাটসমূহে, জনগণের যাতায়াত পথে এবং ছায়াদার স্থানসমূহে পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য বসা অনুচিত। এতে আপামর জনগণের কষ্ট হয়, অধিকন্তু সৌজন্য ও ভদ্রতা বিরুদ্ধ কাজ। ৮. পায়খানায় যাওয়ার সময় জুতা পরিধান করে এবং মাথায় টুপি ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। আর পায়খানায় যাওয়ার সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে নেবেÑ ا َّ لل مُه ا ن ى ُ ا خْ ب ك م ن ال ُذْوُع خ ب ْ و ال ُثْب ا ـ ئ ث ‘‘হে আল­াহ! তোমার নিকট নর শয়তান ও স্ত্রী শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাই’’।১ পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় এ দোয়া পড়ে নিতে হবে ا ْ لِل ُدْ ح م ْل ذ ى َّ ال ْ ا ه ب ع ن ى الا ْذ ذ ى ْ و ع اف ان ى ـ ‘‘আল­াহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যিনি আমার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরীভূত করেছেন এবং আমাকে সুস্বাস্থ্য দান করেছেন’’।২ ৯. নাক পরিষ্কার করা কিংবা কফ (শ্লেষ্মা) ফেলার সময় সতর্কতার সাথে পিকদানি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় অথবা মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থেকে এ ধরনের জরুরি কাজ সেরে নেয়া উচিত। ১ বুখারী ও মুসলিম ২ নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ