গভীর রাত। দরজায় ঠক্ ঠক্ শব্দ হতেই আয়েশা ঘুম ঘুম চোখে এসে কপাট খুলেই কেমন হতভম্ব হয়ে গেল। একজন মধ্যবয়সী মহিলা কেমন যেন উদ্ৰান্তভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। খুব চেনা চেনা লাগছে কিন্তু ঠিক চিনে উঠতে পারছে না। আপা শুধু আজ রাতের জন্য একটু ঘরে ঢুকতে দেবেন?= গলার আওয়াজে আয়েশার বিভ্রান্তি কেটে গেল। আরে এ তাে নীলাঞ্জনার গলা। হা হা, এক্ষুনি এসাে, এমন লাগছে কেন তােমাকে? কী হয়েছে? ওরা সবাই কোথায়? তুমি একা কেন? এতগুলাে কথা বলে মনে হলাে আয়েশার, কেন সে অকারণে এত প্রশ্ন করছে ওকে। এসাে দিদি এসাে- বলেই হাত ধরে টেনে ঘরের ভেতর নিয়ে গেল নীলাঞ্জনাকে। প্রায় বছর খানেক আগে নীলাঞ্জনার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল আয়েশার। আয়েশার স্বামী আর নীলাঞ্জনার স্বামী একসঙ্গে আদমজী জুট মিলে কাজ করত। সিদ্ধিরগঞ্জ থাকত ওরা। পাশাপাশি দুটি একতলা বাড়িতে। খুব ভাব ছিল দুই পরিবারের মধ্যে। দুই পরিবারের বাচ্চাদের মাঝেও মিল ছিল খুব। আয়েশার ছেলে আর নীলাঞ্জনার মেয়ে নিশি সমবয়সী। দু'জনই ক্লাস টেনে পড়ার সময় হঠাৎ করেই আয়েশার স্বামী জুট মিলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজে ব্যবসা করবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছিল। তাও