তসলিমা নাসরিনের জন্ম ২৫ আগস্ট ১৯৬২ সালে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহ চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় থেকে পাশ করে ১৯৯৩ সাল অবধি চিকিৎসক হিসেবে সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেছেন। চাকরি করলে লেখালেখি ছাড়তে হবে-সরকারি এই নির্দেশ পেয়ে তিনি সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দেন। লেখালেখির জন্য অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, আবার বিতর্কিতও হয়েছেন। ধর্ম এবং পিতৃতন্ত্র সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় নারীর স্বাধীনতায়-এ-কথাটি সুস্পষ্ট করে বলতে গিয়ে ধর্ম কী করে নারীর অবমাননা করে তার অনুপুঙ্খ বর্ণনা দেন। এর পরিণামে তিনি তাঁর প্রিয় স্বদেশ থেকে বিতাড়িত। মানবতার পক্ষে লেখা তার তথ্যভিত্তিক উপন্যাস লিজা। লেখিকার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য উপন্যাস ফরাসি প্রেমিক, শোধ। কাব্যগ্রন্থ কিছুক্ষণ থাকো, খালি খালি লাগে, জলপদ্য, নির্বাসিত নারীর কবিতা। বিতর্কিত গদ্যগ্রন্থ নির্বাচিত কলাম, নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য ইত্যাদি। নিজের শৈশব স্মৃতি নিয়ে আমার মেয়েবেলা, কৈশোর ও প্রথম যৌবনের স্মৃতি নিয়ে লেখা উতল হওয়া, ক, সেইসব অন্ধকার এবং দ্বিখণ্ডিত। ইউনেস্কো পুরস্কার, এডিট দ্য নান্ত পুরস্কার, কুর্ট থট হিরোইন পুরস্কার এবং বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট। তিনি হিউম্যানিস্ট লরিয়েট। ভারতে দু’বার পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার নির্বাচিত কলাম এবং আমার মেয়েবেলার জন্য। ইংরেজি ফরাসি ইতালীয় স্পেনীয় জার্মানসহ পৃথিবীর তিরিশটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে তসলিমার বই। মানববাদ, মানবাধিকার, নারী-স্বাধীনতা ও নাস্তিকতা বিষয়ে তিনি পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়াও বিভিন্ন বিখ্যাত মঞ্চে বক্তৃতা দিয়েছেন। মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে তিনি সারা বিশ্বে একটি আন্দোলনের নাম।