পিতা: মরহুম শরীফ মো. মােয়াজ্জেম আলী, মাতা: হেরিয়া বেগম। পরিচিত মহল ও বন্ধুরা ডাকেন টার্কি মিরাজ নামে। ১৯৮৪ সালের ২ মে খুলনা শহরের পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকায় জন্ম । পৈতৃক বাড়ি পিরােজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার পৈকখালী গ্রামের শরীফ বাড়ি । শৈশব কেটেছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় । শরীফ মাে. মিরাজ হােসইনরা পাঁচবােন একভাই । নবম শ্রেণিতে শিক্ষারত অবস্থায় মারা যান তার বাবা শরীফ মাে. মােয়াজ্জেম আলী। মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম ও বােনদের সহযােগিতায় অনার্স শেষ করে প্রবাসী সেজ বােন ও দুলাভাইয়ের সহযােগিতায় পাড়ি জমান দুবাই। ৭বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে এখন থাকেন ঢাকার উত্তর বাড্ডায় । ২০০৭ সালে জীবন সংঙ্গী করেন খুলনার মেয়ে নূর-ই আজমা নূরানী কে। সংসার জীবনে শরীফ মুয়াজ নাইমান ও শরীফ মুয়াজ আইমান নামের দুই সন্তানের জনক । কঠিন শ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে অসম্ভবকে জয় করেছেন। বেকারত্বের বিরুদ্ধে নিজেকে জয় করেছেন, সেই সাথে হাজারাে তরুণকে আশার আলাে দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত তিতির মুরগির একটি প্রজেক্ট এর মাধ্যমে কিছু তিতির সংগ্রহ করে খামার শুরু করেন। এরপর টার্কি পাখি নিয়ে কাজ শুরু করেন। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় পূর্ব পদরদিয়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত মুরগির শেড ভাড়া নিয়ে গড়ে তােলেন বাণিজ্যিক টার্কি এবং তিতির মুরগির যৌথ খামার। এই খামার থেকে টার্কির বাচ্চা নিয়ে এ পর্যন্ত ৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ টার্কি মুরগির খামার করেছেন। সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে আমরা সবাই কৃষক’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। টার্কির বাজারজাতকরণ সহজ করতে টার্কি বাজার.কম নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছেন। এছাড়া টার্কির মাংসকে সহজে সকলের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য রয়েল মিট বিডি নামক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।