Loading...
মোবাশ্বের আলী
লেখকের জীবনী
মোবাশ্বের আলী (Mobashwer Ali)

বাংলা সাহিত্যের সাথে বিশ্বসাহিত্যের অন্বয় মােবাশ্বের আলীর অন্বিষ্ট এবং অর্ধ শতক ধরে এই তার ব্রত। জন্ম কুমিল্লায় (১৯৩১) আলাসাহেব বাড়িতে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা কুমিল্লা জেলা স্কুলে (১৯৩৮)। কিন্তু তাঁর মানস গড়ে ওঠে আইনজীবী পিতা নেওয়াজেস আলীর সাহচর্যে । বৈশ্বিক মানসের অধিকারী পিতা কিশাের পুত্রকে সেক্সপীয়ার, সারভানটিস, তলস্তয়, বঁল্যার সাথে পরিচিত করে তােলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে এসে (১৯৪৬) তাঁর নীট লাভ হলাে পিতৃদত্ত দু'টি গ্রন্থবিউরি গ্রীসের ইতিহাস এবং ও নীলের ওণশণভ ঐরণণপ ফেট, তরুণ বয়সে। গ্রীসের ইতিহাস ও সাহিত্যের সাথে পরিচিতি তাঁর সাহিত্য জীবনে ফলপ্রসূ হয়। তাঁর মধ্যে বৈশ্বিক ভূমিকার সূত্রপাত ঘটে। '৪৮-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাংলায় অনার্স নিয়ে ভর্তি হলেন- ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্ররূপে। '৫১-এ অনার্স, '৫২-তে এম. এ. করে অধ্যাপনা জীবনেও তার বিশ্বসাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত থাকে। ফলে বাংলা সাহিত্যের বিশ্বজনীন ভূমিকা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। লেখকরূপে তার আবির্ভাব ‘সমকালে। সিকান্দর আবু জাফরের অনুরােধে তার গ্রীক সাহিত্য আলােচনা ও অনুবাদের সূত্রপাত। ক্লাসিক্যাল জগৎ ও রেনেসাঁস য়ুরােপ এবং বিশ্বসাহিত্যকে বাংলায় পরিচিত করে তােলাই তার জীবনগত সাধনা। প্রকাশনার ক্ষেত্রে তার সহায়ক হয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট, স্টুডেন্ট ওয়েজ, কাকলী, ঐতিহ্য, মুক্তধারা, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা চৌত্রিশ। সাহিত্যকৃতির দরুন তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন । বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৪), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৮৪), একুশে পদক (১৯৯২), মধুসূদন পুরস্কার (১৯৯৩), বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পুরস্কার (১৯৯৫) ইত্যাদি।