লেখক পরিচিতি- মোঃ মিজানুর রশীদ সুমন ৩০শে অগাস্ট, ১৯৭২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুর রশীদ ওয়াসেকপুরীর ছোট ছেলে। বাল্যকাল থেকেই লিখা লিখিতে তাঁর যথেস্ট আগ্রহ ছিল। তাঁর প্রথম লিখা ছাপা হয় সচিত্র বাংলাদেশ পত্রিকায়। প্রাথমিক শিক্ষাটা মূলত: ঢাকায় শুরু হলেও - নোয়াখালীর ওয়াসেকপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ (১৯৯১-৯২) ও এমবিএ শেষ করে কর্মজীবনে পা রাখেন। কর্মজীবন শুরু করেন "ডেমোক্রেসিওয়াচ" থেকে। অতঃপর বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ও বহুজাতিক কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টস ও ফাইনান্স বিভাগে চিপ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার পদে দীর্ঘদিন চাকরি করেন। বর্তমানে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিতে চিপ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা সহ নিজ এলাকায় অবস্থিত আবদুল্লাহাট ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও জড়িত আছেন। তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল একজন সাদা মনের মানুষ। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে, আর এদের গ্রহণ ও বর্জনে তিনি কখনোই সংকুচিত নন। তারুণ্যে বিশ্বাসী এই মানুষটি সবসময় তরুণদেরকে সফল মানুষ হওয়ার চেয়েও সুন্দর মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, সমাজের উন্নয়ন, স্থিতি অবস্থা ও সম্প্রীতির জন্য সফল মানুষের চেয়ে ভালো মানুষের ভূমিকা অনেক বেশি। তিনি আত্ম-সমালোচনায় একজন অকৃপণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর মতে, যারা নিজের ভালো-মন্দ বোঝে না, তারা অন্যের ভালো মন্দের বিচার করতে পারেনা। তাই তিনি গ্রীক তথা সক্রেটিসের সেই বিখ্যাত প্রবাদ বাক্যটি "Know thyself" সবসময় অনুসরণ করেন। তিনি সবসময় গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাস করেন। কেবল সমালোচনাই একটা মানুষকে তার দুর্বল দিকগুলো বুঝতে সহায়তা করে এবং সমালোচিত ব্যক্তি সমালোচনা পরবর্তী সেই দূর্বল দিকগুলো গুছিয়ে নিয়ে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সমর্থ হয়। তাই তিনি সব সময় বলেন, Embrace the criticism অর্থাৎ, সমালোচনাকে আলিঙ্গন করো। বাস্তব জীবনে তিনি তার বাবার আদর্শকে অনুসরণ করেন। বাবার মতো তিনিও প্রচার বিমুখ এবং ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বৃহৎ স্বার্থের জন্য সদা প্রস্তুত। অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করার মাঝে যে আত্মতৃপ্তি লুকায়িত আছে তা থেকে তিনি কখনো বঞ্চিত হতে চান না। আত্মীয় স্বজন এবং অপেক্ষাকৃত দূর্বল বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের সহযোগিতা করা এবং তাদের খোঁজ খবর রাখার মতো কিছু অনুকরণীয় গুণের অধিকারী মানুষটি আরও বিশ্বাস করেন যে, ক্রোধ পুষে না রেখে ক্ষমা করে দিয়ে নিজেকে এবং দোষীকে ভারমুক্ত করার মধ্যেই সৌন্দর্য ও মহত্ব লুকায়িত। তাঁর মতে, নিয়ম-কানুন ও আইন দ্বারা যে সংশোধন মানুষের চরিত্রে আনা সম্ভব হয়ে উঠেনা, তা কেবল ভালোবাসা দিয়েই অর্জন করা সম্ভব।