Loading...
গোপাল রায়
লেখকের জীবনী
গোপাল রায় (Gopal Roy)

গোপাল রায়ের বাবার নাম জয়হরি রায় ও মায়ের নাম সুমিত্রা রানী। নীলফামারী জেলা, ডোমার উপজেলার একটি গ্রাম নয়ানী বাগডোকরা। যে গ্রামে ভোর হয় পাখির কলকাকলিতে, পূর্বাকাশে উদিত সূর্যের প্রথম আলোর সাক্ষী হন লাঙল কাঁধে কৃষক আর হাতে কাস্তে নেওয়া মাঠ শ্রমিক। সহজ সরল মানুষের চির সবুজ, সোনালী ফসল, ঘাসফুলে ছেয়ে যাওয়া মেঠো পথের সেই গ্রামে ১২ নভেম্বর জন্ম নেওয়া হাসিখুশী, ইতিবাচক, উদ্যোমী, আত্মবিশ্বাসী, স্বপ্নবাজ, প্রতিভাবান একজন তরুণ গোপাল রায়। পড়ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্প কলার ইতিহাস বিভাগে। পড়ালেখার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখিও। ভবিষ্যতে গবেষণা করার দৃঢ় ইচ্ছার এই তরুণ বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকাগুলোতে লেখালেখির পাশাপাশি সম্পাদনা করছেন কবি ও কবিতার ছোট কাগজ ‘হৃদয় হ র ণ’ ও ‘নির্বাধ’। জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় মাকে নিয়ে লেখা ‘আমার মায়ের সোনার নোলক’ প্রকাশিত হলে সেই লেখা থেকে জীবন ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও সম্প্রচার করে চ্যানেল আই। প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পাঠকদের মধ্যে লিখে সেরাদের সেরাও হন। এছাড়াও শিক্ষা, সেবা, মানবতা, জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা, ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক কাজ করে চলছেন ‘সবার পাঠশালা’ সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে। প্রকৃতির বন্ধু গাছ নিয়ে চলা 'সবুজের অভিযান'- এর মাধ্যমে রোপণ করেছেন এখন অবধি ১৭ হাজারেরও বেশি বৃক্ষ। ঠিক তেমনি মানুষের বন্ধু বই নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি গঠনের মধ্যে দিয়ে বই পড়ার আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি ও বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন ‘শেখ হাসিনা ভলেন্টিয়ার ইয়ূথ অ্যায়ার্ড ২০২০’ এবং রংপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ থেকে পেয়েছেন ‘খেরাজ আলী পদক -২০২২’। তার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দ্বিবীজপত্রী অপুষ্পক যতিচিহ্নের স্মৃতিকাল' ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়।