ফিরােজ আহমেদ ইকবালের জন্ম রংপুর শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মা ফিরােজা বেগম বকুল এবং বাবা এম এ মােকসেদের দুসন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ । কিশাের বয়স থেকেই ছড়া, কবিতা, গান, ছােটগল্প রচনার চেষ্টা ছিল নিরন্তর। রংপুর থেকে স্কুলশিক্ষা সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে আসেন রাজধানী ঢাকায়। শিক্ষা : ব্যাচেলর অব মিউজিক (অনার্স), বিএড, এমএ (বাংলা), এসএমইউসিটি। মাস্টার অব এডুকেশন (শিক্ষা প্রশাসন), ঢাবি। এমফিল, ইবি। বেতারে অনুষ্ঠান ঘােষণা করার সুবাদে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে পরিচিত হন চলচ্চিত্রের কাহিনি ও সংলাপ রচয়িতা, নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক এবং ঢাকা বেতারের ও তঙ্কালীন প্রধান অনুষ্ঠান ঘােষক আলী হাসান খানের সঙ্গে। তাঁরই আন্তরিক সহযােগিতায় চিত্র পরিচালক দিলীপ সােমের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। বেতারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, ও বিদেশি ছায়াছবি ও ধারাবাহিকের বাংলা ডাবিং, মঞ্চ-বেতার-টেলিভিশন নাটকে অভিনয় এবং চলচ্চিত্রে কাজ করে। চলছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে স্বনামখ্যাত চিত্র পরিচালক দিলীপ সােম মৃত্যুবরণ করলে থমকে যায় তার চলচ্চিত্রজগতের পৃথচলা। অতঃপর, মিডিয়াগুরু আলী হাসান খানের সহযােগিতায় সহকারী পরিচালকের কাজ ছেড়ে দিয়ে জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রের ডাবিংশিল্পে। এরই মধ্যে কণ্ঠসম্রাট মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সুদীর্ঘ দশ বছর (১৯৯৫-২০০৪) তাঁর সান্নিধ্যে থেকে কণ্ঠচর্চাসহ এর বহুবিধ ব্যবহার, বেতার-টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন ও স্পনসর্ড অনুষ্ঠানের পাণ্ডুলিপি রচনা এবং বিজ্ঞাপন নির্মাণ বিষয়ে ( হাতে-কলমে কাজ করেন। মা, বাবা, বড় খালামণি (প্রয়াত আনােয়ারা বেগম বিজলী) এবং কণ্ঠকন্যা হেনা আন্টির (স্বনামধন্য উপস্থাপিকা হেনা কবির) উৎসাহে একই সঙ্গে লেখাপড়া ও - কর্মজীবন নির্বাহ করেন। এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শাে বাংলা চলচ্চিত্রে নায়কদের ডাবিং করেছেন তিনি। টেলিভিশন চ্যানেলগুলােতে প্রচারিত বিদেশি ছায়াছবি ও ধারাবাহিকগুলাের বাংলা ডাবিংসহ তার অভিনীত অর্ধশতাধিক টেলিভিশন নাটক এবং ছয়টি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচারিত হয়েছে। বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন মনের তাগিদে। সংগীত (গীত-বাদ্য-নৃত্য), নাট্যকলা ও চারুকলা বিষয়ক গবেষণার কাজে নিয়ােজিত থাকার ইচ্ছে আমৃত্যু।