যেসকল লেখক ধর্ম, প্রেম, জীবন ও সৃষ্টিশীলতার মধ্যে অতি সূক্ষ্ম, তবে সুতীব্র ও অটুট একটি যোগসূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন, বাস্তবতার আঙিনায় দাঁড়িয়ে শৈল্পিক ও গতিময় ভাষায় সেই যোগসূত্রের প্রাসঙ্গিকতা ও যথার্থতা ব্যাখ্যা করেন, আকরাম হোসাইন সেই সারির একজন তরুণ লেখক। তার লেখনীতে আমরা ধর্ম, প্রেম, জীবন ও সৃষ্টিকর্মকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে দেখতে পাই। একটি ছাড়া অপরটি যে কোনোμমেই পূর্ণাঙ্গ ও প্রাণবন্ত হতে পারে নাÑএধারণাটি আমরা তার রচনায় বিশ^াসের উচ্চতায় উন্নীত হতে দেখি। এ ছাড়াও শিশু, কিশোর ও যুবা-কেন্দ্রিক রচনায় আমরা লেখকের ভিন্ন একটি সত্তার সন্ধান পাই। আমরা গভীর বিস্ময়ে আবিষ্কার করি, ব্যক্তিজীবনে একজন নিভৃতচারী মানুষ হয়েও তিনি তার লেখকসত্তার দর্পণে অত্যন্ত নিপুণভাবে শুধু নিজেরই নয় বরং সমকালীন সকলের শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য, এককথায় জীবনের পটপরিবর্তন এবং শিক্ষা, বয়স ও পরিবেশকেন্দ্রিক চিন্তা ও অভিপ্রায়গুলো চিত্রিত করেন। অভূতপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে সেগুলোর প্রকৃতি নির্ণয় করেন। এবং পরম মমতার সঙ্গে এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনের পিছনের বিকার ও সৃজনশীলতা ব্যাখ্যা করেন। এভাবে আমরা তাকে μমেই প্রেম, ধর্ম, জীবন এবং জীবনের অচ্ছেদ্য একটি অংশ বিয়ে ও বিয়ে-পরবর্তী জটিলতায় তারুণ্যের নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখি। এই প্রতিভাবান লেখক, ১৯৯২ সালের ১৯ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা আইড়মারা গ্রামের মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জনাব আবদুল মান্নান। চার-ভাই বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ।