লেখালেখির জগতে জনাব আ. ই. ম. গােলাম কিবরিয়ার জড়িয়ে পড়ার পেছনে ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজের তৎকালীন সহপাঠী প্রিয় বন্ধু একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক (ছড়াকার ও কবি) জনাব জাফর ওয়াজেদের অনুপ্রেরণা ও প্রভাব কাজ করেছিল। আসল নামটি বড় হওয়ায় সংক্ষিপ্ত কয়েকটি নামও ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি। তার সম্মতিতেই ডাক নামটি গ্রহণ করে "বাবুল চৌধুরী" নামে পত্র পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেন। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী কবি বন্ধু রুদ্র মােহাম্মদ শহিদুল্লাহ, কামাল চৌধুরী ও মােহন রায়হানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থেকে তৎকালীন অন্যান্য তরুণ লেখকদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে একজন সাহিত্যপ্রেমী ও একজন লেখক হয়ে ওঠেন। তৎসময়ে তিনি কবিতা ও ছড়া লেখা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগের পাশাপাশি তিনি ছাত্র সংগঠনের (ছাত্র রাজনীতির) সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ডাকসু নির্বাচনে তিনি বাসদের সহযােগী ছাত্র সংগঠন “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" (মান্না-আকতার পরিষদে) থেকে ১৯৮১ সনে মিলনায়তন সম্পাদক (Common Room Secretary) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স শেষ করে লেখালেখি ও ছাত্র রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ১৯৮২ সনে অনুষ্ঠিতব্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা (বি.সি.এস.) দেবার জন্য মনােনিবেশ করেন এবং সফল হন। চাকুরী জীবনে যা লিখেছেন তা তাঁর ডাক নামে বা মূল নামে ছাপা হয়েছে। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ডাক বিভাগ, ডাক ও টেলিযােগাযােগ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে নিয়মিত চাকুরী শেষে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক দায়িত্বে আরও কিছু বছর নিয়ােজিত থাকেন। চাকুরীর সুবাদে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং জাতিসংঘ, ইউএনওমেন, আইপিইউ, সিপিএ সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযােগ পান। ০৩.০২.২০২০ তারিখে তিনি চাকুরী থেকে পূর্ণাঙ্গ অবসরে যান।