ভালোবাসার রামাদান
রামাদান এতই মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি মাস যে, এই মাসে জান্নাতের সবগুলো দরজা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং জাহান্নামের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই মাসেই রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনী যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রামাদানের প্রতিটি দিন ও রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দুআ কবুল হয় এবং অগণিত বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে। অথচ কত-ই না দুর্ভাগা আমরা যে, উপযুক্ত দিক-নির্দেশনার অভাবে আমাদের অনেকেই মূল্যবান এই মাসটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি না। ফলে আমরা ব্যর্থ হই রামাদানের অমূল্য-সব নিয়ামতপ্রাপ্তি থেকে। মূল্যবান এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা সমৃদ্ধ। এই গ্রন্থে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই সমকালীন প্রকাশনের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
সেরা হোক এবারের রামাদান
"সেরা হোক এবারের রামাদান"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভের মধুরতম একটি মাস হচ্ছে রামাদান। এ মাসে সকল শ্রেণির সকল বয়সী মুসলিম দ্বীনের প্রতি অনেক বেশি উৎসাহী এবং উদ্যমী হয়ে ওঠে। এতে করে শরিয়তের বিধি-নিষেধগুলাে মেনে চলা তাদের জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া, রামাদান মাসে শয়তানের পায়ে শেকল পরানাে হয়। তাকে বন্দি করে রাখা হয় কারাগারে। এভাবে আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য দৈনন্দিন ইবাদতগুলাে সম্পন্ন করা সহজ করে দেন। রামাদানে সিয়াম রাখা প্রতিটি মুসলিম নরনারীর জন্য ফরজ। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ, তােমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তােমাদের পূর্ববর্তী লোেকদের ওপর, যেন তােমরা তাকওয়াবান হতে পারাে।”[1] কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজে মহিমান্বিত এ মাসটিকে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যের মাসে পরিণত করার অপচেষ্টা চালানাে হচ্ছে। সিয়াম পালনের মূল উদ্দেশ্য সবাই এখন ভুলতে বসেছে। তাকওয়া অর্জনের পরিবর্তে মূল লক্ষ্য যেন জমকালাে পােশাকের হরদম বেচাকেনা, বাহারি খাবার তৈরির হীন প্রতিযােগিতা, ইফতার ও সাহারি পার্টির মাধ্যমে ইবাদতে জল ঢালা এবং নানাবিধ হারাম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাত বরবাদ করে দেওয়া। অথচ হওয়ার কথা ছিল এর উলটোটা। ভােগবিলাসী জীবন নয়; বরং সংযমী হওয়ার মাস হচ্ছে রামাদান। বছর ঘুরে সেই মাসটি আবারও কড়া নাড়ছে আমাদের দুয়ারে। হতে পারে এই রামাদানের পর আর কোনাে রামাদান আসবে না জীবনে। হতে পারে নিজেকে বদলানাের সুযােগ আর হবে না কোনােদিন। জীবনের ডায়েরি থেকে আর কোনাে মহিমান্বিত মাস যেন হারিয়ে না যায় বিনা আমলে, বিনা ইবাদতে। তাই এ রামাদান থেকেই শুরু হােক আমাদের সর্বাধিক প্রচেষ্টা, সকল প্রস্তুতি। ইলমে, আমলে আমরা নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাই। জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকতে চাই। আশা করি, সেরা হােক এবারের রামাদান গ্রন্থের লেখাগুলাে পাঠকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, তাদের চিন্তার জগতে আলােড়ন সৃষ্টি করবে এবং রামাদানের উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করবে, ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যেন এই রামাদানকে আমাদের জীবনের শেষ রামাদান না করেন এবং ইবাদত ও উপলব্ধির মাধ্যমে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে নব উদ্যমে জীবন শুরু করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
জীবনের সেরা রামাদান
রামাদানকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব—এর বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে এ বইয়ে। সিয়াম, সালাত, তারাবি, তিলাওয়াত, ইতিকাফ-সহ রামাদান-সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এতে। নিজেকে পাপমুক্ত ও শুদ্ধ করে তোলার এই মাসটিকে যারা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চায়, এ বইটি তাদের জন্য আদর্শ একটি গাইড-বুকের কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
এ বইয়ে কঠিন ও জটিল বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে সহজ ও সরলভাবে। উপরন্তু কলমের কালির সঙ্গে হৃদয়ের সবটুকু দরদ যেন ঢেলে দেওয়া হয়েছে বইটির পাতায়-পাতায়। অসামান্য মায়া নিয়ে উম্মাহকে বলা হয়েছে এমন কিছু কথা, যা সচরাচর খুব একটা শোনা যায় না।
ড. আয়েয আল-কারনী এর সেরা রামাদান প্যাকেজ (সকাল-সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর বই ফ্রি) এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 518.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। sera Romadan package by Dr. Ayez Al-Qarniis now available in boiferry for only 518.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.