Loading...

খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) (হার্ডকভার)

স্টক:

৫৫০.০০ ৪১২.৫০

মেলা দিন আগেকার কথা। কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে সোভান ধুমা আবাদ শুরু করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে। ওইসব দিনের এক বিকালবেলা মজনু শাহের অগুনতি ফকিরের সঙ্গে কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনসি বয়তুল্লা শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই মুনসি । বন্যায় ভেঙে পড়ে। কাৎলাহারের তীর। মুনসির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষীরা হয়৷ কাৎলাহার বিলের মাবি । খোয়াবনামার শুরু । বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনসির শোলোকে শোলোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শোলোক শোনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনসিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূৰ্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায় তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে; সে নাম চায় বীে চায় ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশি সায়েবদের হাতে। দেশ আর দেশ থাকে না, হয়ে যায় দুটাে রাষ্ট্র। দেশি সায়েবরা নতুন রাষ্ট্রের আইন বানায়, কেউ হয়। টাউনবাসী, কেউ হয় কন্ট্রাকটর। আবার নিজেদেশে পরবাসী হয় কোটি কোটি মানুষ। হিন্দু জমিদার নায়েব চলে যাওয়ার পরও আজাদ আর পানির পত্তন ফিরে পায় না। পাকুড়গাছ নাই। তমিজের বাপ ।
ভবানী পাঠক আর আসে না। বৈকুণ্ঠ নিহত। ক্ষমতাবান ভদ্রলোকের বাড়িতে চাকর হয়ে বিল-ডাকাতির আসামী তমিজ পুলিসকে এড়ায়। তেভাগার লড়াই। নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে তমিজ বেরিয়ে পড়ে তেভাগার খোঁজে। ফুলজানের গর্ভে তমিজের ঔরসজাত মেয়ে সখিনাকে নিয়ে ফুলজান ঠাঁই নেয় কোথায়! খোয়বনামা সারা। কিন্তু মোষের দিঘিরপাড়ে শুকনা খটখাটে মাঠের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাৎলাহার বিলের উত্তর সখিনা পায় জ্বলন্ত হেঁসেলে বলকানো ভাত ।
খোয়াবনামা জিম্মাদার তমিজের বাপের হাত থেকে খোয়াবনামা একদিন বেহাত হয়ে গিয়েছে। এখন সখিনার খোয়াব। খোয়াবনামা স্বপ্নের ব্যাখ্যাত। কিন্তু স্বপ্নের ব্যাখ্যায় যা বিবেচ্য তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্নদেখা মানুষ।
Khoabnama anando puroskarprapto,Khoabnama anando puroskarprapto in boiferry,Khoabnama anando puroskarprapto buy online,Khoabnama anando puroskarprapto by Akhtaruzzaman Elias,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত),খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) বইফেরীতে,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) অনলাইনে কিনুন,আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত),9844100615,Khoabnama anando puroskarprapto Ebook,Khoabnama anando puroskarprapto Ebook in BD,Khoabnama anando puroskarprapto Ebook in Dhaka,Khoabnama anando puroskarprapto Ebook in Bangladesh,Khoabnama anando puroskarprapto Ebook in boiferry,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) ইবুক,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) ইবুক বিডি,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) ইবুক ঢাকায়,খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) ইবুক বাংলাদেশে
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 408.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Khoabnama anando puroskarprapto by Akhtaruzzaman Eliasis now available in boiferry for only 408.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৩৫২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2015-01-01
প্রকাশনী মাওলা ব্রাদার্স
ISBN: 9844100615
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
লেখকের জীবনী
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (Akhtaruzzaman Elias)

গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মামাবাড়ি। এই মাতুলালয়েই ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পূর্ণনাম আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস হলেও মঞ্জু ডাকনামেও তার পরিচিতি রয়েছে। পৈতৃক বাড়ি ছিলো বগুড়ায়, তাই বগুড়া জিলা স্কুল থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এরপর চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয়ার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, যেখান থেকে তিনি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আগাগোড়া। জগন্নাথ কলেজের প্রভাষক পদ থেকে শুরু করে মিউজিক কলেজের উপধ্যাক্ষ, প্রাইমারি শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরিচালক পদেও নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হয়েছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছোটগল্প, প্রবন্ধ এবং উপন্যাস লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন। কবিতার প্রতিও ঝোঁক ছিলো তার, লিখেছিলেন কয়েকটি কবিতা, তবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কবিতা কখনো প্রকাশিত হয়নি। ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রথম গ্রন্থ ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ প্রকাশিত হয়। তার বাচনশৈলী সাধারণ পাঠকদের কাছে প্রথমদিকে বেশ খটমটে লেগেছিলো। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রথম উপন্যাস ‘চিলেকোঠার সেপাই’, যা প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৮৭ সালে। এছাড়াও আলোড়ন সৃষ্টিকারী তার আরেকটি উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’। আখতারুজ্জামান এর বই সমগ্র-তে মোট দুটি উপন্যাস, পাঁচটি গল্পগ্রন্থ ও একটি প্রবন্ধ সংকলন রয়েছে। ‘খোয়াবনামা’কে তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলা হলেও আখতারুজ্জামানের ইলিয়াসের ছোটগল্পগুলোও পেয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা। তার রচনা বিশ্লেষণধর্মী। পিতা বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং মুসলিম লীগের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন বিধায় রাজনীতিতে তার অংশগ্রহণ ছিলো স্বাভাবিক ঘটনা। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর বই সমূহ-তে তাই স্বাদ পাওয়া যায় রাজনীতির, এবং তার লেখার মাধ্যমে সমষ্টি ও ব্যক্তিকে দিয়েছেন সমান মর্যাদা। মুক্তমনা এ লেখক ১৯৮৪ সালে ‘সাহিত্য শিবির’ নামে একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংঠনের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র এবং বাংলা সাহিত্যে বহুমাত্রিক অবদানের জন্য ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৯৬ সালে আনন্দ পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি এই সৃষ্টিশীল লেখক ইহলোক ত্যাগ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই