ধনী পিতার একমাত্র কন্যা তপতী, রূপসী, শিক্ষিতা, গুণী, সাঁতার, গান, পড়াশােনা সবেতেই প্রথম। বি.এ পড়ার সময় তার বাবা মিঃ শঙ্কর চ্যাটার্জি মেয়েকে বিয়ে দিতে চান। বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তপতীর। সে বি.এ পরীক্ষা দিবে; সেটা নিয়েই ব্যস্ত। তপতীর জন্য ভদ্র ঘরের সুন্দর শিক্ষিত ছেলে ঠিক করা। হলেও পনের টাকা দিতে দেরি করায় ছেলের বাবা তার বাধ্য ছেলেকে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে যান। ঠিক বিয়ের প্রস্তুতির সময় শঙ্কর চ্যাটার্জির পুরনাে বন্ধু মহাদেবের ছেলে তপন আসে বাবার মৃত্যুর পরে তার বেশ কিছু জরুরি কাগজপত্র ফেলতে গিয়ে শঙ্কর সাহেবের কিছু দরকারী দলীল পেয়ে সেগুলাে ফেরত দিতে। | শান্ত-সৌম্য চেহারার তপনকে দেখে শঙ্কর চ্যাটার্জির মনে পড়ে, তার বন্ধু মহাদেবকে কথা দিয়েছিল তার ছেলেকে নিজের জামাই বানাবে। বিয়ের পাত্র পক্ষ চলে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ তপনের সাথে তপতীর বিয়ে দেন মিঃ চ্যাটার্জি। তপতী ক্ষণিকের জন্য তপনকে দেখেনি...। শঙ্কর বিয়ের পরে জানতে পারেন অভাবের কারণে তপনের লেখাপড়া বেশি দূর আগায়নি। তপতীর বন্ধুরা তপনকে হাসির পাত্র। বানায়, টিকি কেটে দেয়, নানাভাবে নানা অপমান করে। তপন নিরুত্তাপ, শুধু। শাশুড়ির সাথেই তার যত কথা!