Loading...

ভেজাল (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০

একসাথে কেনেন

নিকৰাবু শক্তিমান লেখক। শুধু তার সম্বন্ধে এ বিশেষণটা যথেষ্ট শক্তিশালী হল না। আরো বেশি করে বলা উচিত। বেশি করে বলতে না পারার দরুন সংক্ষেপে বলতে হয়, তিনি অসাধারণ। তার অর্থ এ নয় যে তিনি অস্বাভাবিক। বরং মানুষের প্রকৃতিতে যা গােপন ও গহননিহিত, দুস্থে ও দৃঢ়ল, সহজাত ও অভ্যাস-জৰিগত, তাকেই তিনি উদঘাটন করে দেখান। তাই তাঁর দৃষ্টিটা সহজ ও সাধারণ দৃষ্টি নয়, সত্য দৃষ্টি। জীবনের একটা বা দিক আছে। যে দিকটা মানুষ ঢেকে রাখে তার ঐশ্বর্ব-বিলাসে, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে, পরিবেশ-প্রশাসনে ; যে দিকটা প্রচ্ছন্ন, হয়তাে বা কর্দমাক্ত। বাইরে যেটা ত্যাগ, ভিতরে সেটা ধাক্কা : বাইরে যেটা উৎসর্গ, ভিতরে সেটা সুৰূতাঃ মানিকবাবু শুধু বরই দেখেন না, তার সিড়ির খবর নেন, ঘরের আগম-নির্গমের খবর। বহু বৎসরের ধুলাের উপর জমকালো গালচে পাতা হয়েছে, কিন্তু ড্রয়িংরুমের সত্যিকার বর্ণনা করতে গিয়ে ধুলাে বাদ দিলে বর্ণনাটাই ভুয়ে! হয়ে যাবে। ডান হাত যখন দান করে তখন লগে-লতে খা হাত যে ক্ষতিপূরণের ফিকিব খোলে, সে খবরটা মানিকৰাৰু ধরে ফেলেছেন। এক হাতের সেবার পাশে আরেক হাতে যে দীন অনুনয় থাকে উন্মুখ হয়ে সেটা একটু খায়ে গিয়ে দাড়ালেই দেখা যায়। দেখা যায়, বিরহে ডান চোখ অশ্রুপাত করলেও বা চোখ রেহাই পাবার আনন্দে চকচক করছে। দেখা যায়, যা কাপা হাই লেফাফাহুবন্ত হয়ে সমাজে সংসারে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। কাপটের তকমা পরেই যত কিছু পারিপাট্য। বাইরে বা শােভা ও শান্তি, সেটা পেণ ও শােহশেবই প্রকারান্তর। ডান চোখ দেখে শুধু মণ চামড়, সুগােল মাংস, কিন্তু বা চোখ দেখে হাড়গােড়, মূল-মজ্জা, নাড়ীচক্র। যা আপাতদৃশ্যমান সেটা ডান চোখের, আর যা পরিণামূ-প্রামাণিক তাই বার। সূর্য পৃথিবীর চার দিকে ঘুরছে ডান চোখ এই দেখে এসেছে চিরকাল, পৃথিবীর ঘােরাটা - চোখের আবিষ্কার। বয়ে থেকে দেখেন বলে সন্দেহ হর্গে পারে এটা বােধ হয় মানিকবাবুর বাকা করে দেখা। কিন্তু মানুষের প্রকৃতির মাঝেই যে অন্তর্নিহিত একটা বিকৃতি আছে, ভিয়েনের মধ্যেই ভেজাল, যেটা ধনতান্ত্রিক সমাজ ও কৃত্রিম সভ্যতার তৈরি, সেটা যিনি দেখতে পেয়েছেন তিনি সম্পূর্ণ করেই দেখেছেন বলে মেনে নেব। মানিকবাবু শাখার নন, শিকড়ের। যোগৰিয়ােগ ভাগের নন, লঘুকরণের । এই গল্পগুলি তার জীবনদর্শনের বিশেষবােধক। কৃতখানি খাস মিশিয়ে সােনা, গদ মিশিয়ে মধু ও ক্লেদ মিশিয়ে রূপ তরি তিনি নির্ভুল ফমুলা কবে দিয়েছেন। মানুষের জীবনে প্রকাশের চেয়ে প্রশ্নের ব্যঞ্জনা যে অনেক গভীর, তার সমস্ত গতিবিরতির যে ব্যাখ্যাটা সহজাত তারও চেয়ে যে একটা দুতের ব্যাখ্যা আছে তার অবচেতনা, ভার সমস্ত সারল্য যে দুর্বোধ এক কুটিলতার কুণ্ডলী, তার সমস্ত প্রেরণা আসছে যে উর্ধন্থ আকাশ থেকে নয়, আদিম ও মৌল মাটির অন্ধকার গর্ভ থেকে, তারই উদেষণ এই গল্পগুলিতে। আর, এই বলা ও দেখা কি আশ্চর্য মিলেছে তাঁর সঙ্গাগ শিল্পবােধের সঙ্গে। ভঙ্গির সঙ্গে মিলেছে আঙ্গিক বিষয়ের বক্রতার সঙ্গে মিলেছে ভাষার তীক্ষ্ণতা। আর, যা সূন্ন তাইতী। যা সত্য তাই রূঢ় ও নির্মম।
Bhejal,Bhejal in boiferry,Bhejal buy online,Bhejal by Manik Bondhopadhai,ভেজাল,ভেজাল বইফেরীতে,ভেজাল অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভেজাল,Bhejal Ebook,Bhejal Ebook in BD,Bhejal Ebook in Dhaka,Bhejal Ebook in Bangladesh,Bhejal Ebook in boiferry,ভেজাল ইবুক,ভেজাল ইবুক বিডি,ভেজাল ইবুক ঢাকায়,ভেজাল ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভেজাল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 100 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Bhejal by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 100 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৫৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-11-07
প্রকাশনী উইনার্স বাজার
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই