Loading...
লায়লা নাজনীন হারুন
লেখকের জীবনী
লায়লা নাজনীন হারুন (Layla Naznin Harun)

১৯৭৪ সালে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী থাকা অবস্থায় এক তরুণ ক্যাপ্টেন-এর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় লায়লা নাজনীন হারুনের। বিয়ের পর স্বামী সংসার ও সন্তানের সঙ্গে পড়াশুনা চালিয়ে যান তিনি। সৈনিক স্বামীর নানাবিধগুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের সঙ্গে একাত্ম হয়েও সাহিত্য ও সঙ্গীত জীবনকে ত্যাগ করেননি তিনি। বিয়ের পর স্বামীর অকৃতিম প্রেরণা, সহযােগীতা তার লেখনী ও সঙ্গীতকে আরাে বিকশিত করেছে। বর্তমানে তিনি দুই সন্তান বনি ও রনির গর্বিত জননী। স্বামী সঙ্গে পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেও স্বদেশের প্রতি রয়েছে তার এক অদ্ভুত টান ও মমত্ববােধ। দেশ তার কাছে এক পরম আশ্রয়স্থল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার প্রথম লেখা কবিতা “ভাবনার সৈকতে” প্রথম প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকায়। লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা | লিখলেও তারপর থেকে পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে প্রকাশিত হতে থাকে তার লেখা গল্প, ছড়া, কবিতা ও প্রবন্ধ দেশের বিভিন্ন দৈনিক পাক্ষিক ও মাসিকে। মকর রাশির জাতিকা লায়লা নাজনীন হারুন। জন্ম যশাের শহরের পুরাতন কসবায় নানাবাড়ীতে। নয় ভাইবােনের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। স্বভাবে অন্যদের চেয়ে একটু স্বতন্ত্র । চুপচাপ, শান্ত ও স্পষ্টভাষী। বাবা পুলিশ অফিসার মােঃ আবু বকরও লেখালেখিতে পারদর্শী ছিলেন। বাবার উৎসাহ-অনুপ্রেরণাতেই লায়লা নাজনীন হারুন লেখার জগতে প্রবেশ করেছেন। ছােটবেলা থেকেই পড়াশােনার পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চাও চলতে থাকে সমান তালে। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ও ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চুক্তিবদ্ধ কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার। বর্তমানে বেতার ও টিভির বিশেষ শ্রেণীর কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার। লায়লা নাজনীন হারুন বেতার ও টিভিতে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। তার লেখা গান নিয়মিত প্রচারিত হয় বেতার টিভিতে। এদেশের স্বনামধন্য প্রায় সকল শিল্পীই তার লেখা গান গেয়েছেন।